Beanibazarview24.com
বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের নৃ’শংস হ’ত্যাকাণ্ডএখন দেশের সব থেকে আলোচিত বিষয়। আবরার হ’ত্যা মা’মলায় গ্রে’ফতারকৃতরা রিমান্ডে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে নানা তথ্য দিয়েছেন আ’টককৃত শিক্ষার্থীরা।
আবরারের ওপর নি’র্যাতনের কথাও তারা স্বীকার করেন। আবরার হ’ত্যা মা’মলায় ১৯ আসামির ১০ জন বুয়েট ছাত্রলীগের পদধারী; বাকিরা কর্মী ও সমর্থক।
জিজ্ঞাসাবাদে ছাত্রলীগের নেতারা স্বীকার করেন, নি’র্যাতনের মুখে রাত পোহালেই হল ছেড়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন আবরার। শেরেবাংলা হলের দুটি কক্ষে দুই দফায় তার ওপর চলে নি’র্মম নি’র্যাতন। এর আগে রাত ৮টায় হলের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে আবরারকে ডেকে নেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের দুই সদস্য মুনতাসিরুল আল জেমি ও এহেতাশামুল রাব্বি তানিম।
২০১১ ও ২০০৫ নম্বর কক্ষে চালানো হয় নি’র্যাতন। আবরারের নিস্তেজ দেহ কক্ষে ফেলে রেখে পলাশী মোড়ে কয়েকজন খেতেও যান। রাত ২টার কিছুক্ষণ পর তার ম’রদেহ নিচে নামিয়ে আনেন কয়েকজন।
মেধাবী ছাত্র আবরারের বি’রুদ্ধে অভিযোগ ছিল, সম্প্রতি ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের করা চুক্তির সমালোচনা করে ফেসবুকে সমালোচনামূলক স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। এজন্য তাকে ছাত্রশিবির হিসেবে সন্দেহ করা হয় এবং নৃ’শংসভাবে পি’টিয়ে হ’ত্যা করা হয়।
ওই ঘটনায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেলসহ ১১ নেতাকে স্থায়ীভাবে ব’হিস্কার করা হয়। গত সোমবার রাতে নি’হত আবরারের বাবা বরকতুল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনের বি’রুদ্ধে মা’মলা করলে ওই রাতেই হ’ত্যায় সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে ১০ জনকে গ্রে’ফতার করে পুলিশ। গ্রে’ফতারকৃতদের গতকাল আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের ১০ দিন করে রি’মান্ড আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেককে পাঁচ দিন করে রি’মান্ড মঞ্জুর করেন।
এ ছাড়া গতকাল গ্রে’ফতার করা হয় আরও তিনজনকে। তারা হলেন- শামসুল আরেফিন রাফাত, মনিরুজ্জামান মনির ও আকাশ হোসেন। মনির ও আকাশ এজাহারভুক্ত আসামি। রাফাতকে সন্দেহভাজন হিসেবে ধরা হয়। আবরার হ’ত্যা মা’মলাটি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তদন্ত করছে। এ নিয়ে এ হ’ত্যার ঘটনায় গ্রে’ফতার হলো ১৩ জন।
ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন, আবরার হ’ত্যার ঘটনায় ১৩ জনকে গ্রে’ফতার করা হয়েছে। অন্যদের অল্প সময়ের মধ্যে ধরা হবে।
এছাড়াও ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) আবদুল বাতেন বলেন, গ্রে’ফতারকৃতরা আবরারের ওপর হা’মলায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.