Beanibazarview24.com





শ্রীলংকায় ভয়াবহ সিরিজ বোমা হামলায় বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্য এবং আওয়ামী লীগ নেতা শেখ ফজলুল করিম সেলিমের ৮ বছরের নাতি জায়ান নিহত হয়েছে। শেখ সেলিম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বোনের ছেলে। সেই সূত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুপাতো ভাই। তাই ছোট্ট জায়ান প্রধানমন্ত্রীরও নাতি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে পারিবারিক নানা অনুষ্ঠান ছাড়াও বিভিন্ন সময় দেখা হতো জায়ানের। তাকে দাদু বলে ডাকতো শিশু জায়ান। আদুরে জায়ান প্রধানমন্ত্রীকে দেখলেই জড়িয়ে ধরতো।
এদিকে মায়াবী এই শিশুটির মৃত্যুতে কাঁদছে গোটা বঙ্গবন্ধু পরিবার। স্তব্ধ পুরো দেশ। সবাই শোকাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে। বর্তমানে রাষ্ট্রীয় সফরে ব্রুনাই থাকা প্রধানমন্ত্রী চোখের পানি আটকে রাখতে পারেননি।
এ ছাড়া শেখ সেলিমের বনানীস্থ ২/এ রোডের ৯ নং বাসভবনে চলছে শোকের মাতম। দেশের বিভিন্ন স্তরের মানুষ সেখানে সমবেদনা জানানোর জন্য আসছেন। শ্রীলংকায় সিরিজ হামলার পরপরই প্রধানমন্ত্রী এর তীব্র নিন্দা জানিয়ে শোক প্রকাশ করেছিলেন।
এর কিছুক্ষণ পরই তিনি জানান, তার পরিবারের সদস্যরাও এই ঘটনায় আক্রান্ত। শুরুতে শিশু জায়ান নিখোঁজ ছিল। কিন্তু পড়ে জানা যায়, তার মৃত্যু হয়েছে। এই খবরটি শোনার পরই প্রধানমন্ত্রী বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন। আবেগাপ্লুত হয়ে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন বলেও জানা যায়।
প্রসঙ্গত, রোববার শ্রীলংকার প্রধান প্রধান গির্জা ও হোটেলে সিরিজ বোমা হামলা চালানো হয়। শেখ সেলিমের মেয়ে, জামাতা ও তাদের দুই বাচ্চা শ্রীলঙ্কায় ভ্রমণে গিয়েছিলেন।
ঘটনার সময় শেখ সেলিমের জামাতা মশিউল হক চৌধুরী প্রিন্স ও নাতি জায়ান একটি হোটেলে নাস্তা করছিলেন। হামলার পর মশিউল হক চৌধুরী প্রিন্সকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হয়। কিন্তু শিশু জায়ানের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।
পরে প্রধানমন্ত্রী নিজেই এ খবর জানিয়েছিলেন । তিনি বলেছিলেন, ‘বাচ্চাটার এখনো কোনো খবর পাওয়া যাচ্ছে না যে সে কোথায় আছে। আপানারা একটু দোয়া করেন, যেন ওকে পাই।’
কিন্তু অবশেষে সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেল ছোট্ট জায়ান। তার মৃত্যুতে এখন ব্রুনাই সফররত প্রধানমন্ত্রী এবং তার সফরসঙ্গীদের মাঝে শোক বিরাজ করছে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.