Beanibazarview24.com






মেক্সিকোর সঙ্গে টেক্সাস সীমান্ত দিয়ে অবৈধ উপায়ে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার সময় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৬ বাংলাদেশীকে। ইদানীং এ উপায়ে বাংলাদেশীদের যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। কোনো কোন ক্ষেত্রে তা বৃদ্ধি পেয়েছে ২৭০ শতাংশ। এক বছরে এভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করার সময় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৬৬৮ বাংলাদেশীকে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ব্রেইতবার্ত।



এতে বলা হয়েছে, শনিবার রাতে ও পরদিন সকালে ১২ ঘন্টার অভিযানে দুটি আলাদা অপারেশনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ওই ৬ বাংলাদেশীকে। তারা এ সময় মেক্সিকোর সঙ্গে টেক্সাস সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টা করছিল।
লারেডো সেক্টর বর্ডার প্যাট্রোল এজেন্টরা এ মাসে এ উপায়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টাকালে কমপক্ষে ৭৫ জন বাংলাদেশীকে আটক করার কথা জানিয়েছে।



২০১৭ সালের অক্টোবরের তুলনায় এ বছরের অক্টোবরে এ সংখ্যা শতকরা ১০ ভাগ বেশি। ৩০ শে সেপ্টেম্বর সেখানে ২০১৮ অর্থবছর শেষ হয়েছে। এ সময়ে লারেডো সেক্টর এজেন্টরা ৬৬৮ বাংলাদেশী অভিবাসীকে আটক করেছে। আগের বছরের মোট বাংলাদেশী অবৈধ অভিবাসীর তুলনায় এ সংখ্যা শতকরা প্রায় ২৭০ ভাগ বেশি।



ব্রেইতবার্তের রিপোর্টে বলা হয়েছে, দক্ষিণ ও মধ্য টেক্সাসের সীমান্তে রয়েছে উন্মুক্ত নদী। সেই সীমান্ত একেবারে খোলা। এমন সীমান্ত শত শত মাইলের। এই পথটিকে ব্যবহার করছে অবৈধ অভিবাসীরা। এ পথে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য অভিবাসীরা দালালদের দিচ্ছে প্রতিজন ২৭ হাজার ডলার করে।



লারেডো সাউথ বর্ডার পেট্রোল স্টেশনে যে এজেন্টদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তারা শনিবার টেক্সাসের মাস্টারসন রোডে সন্দেহজনকভাবে চার অভিবাসীর কাছে যায়। এ সময় লারেডো সেক্টর লাইন অপারেশনের অংশ হিসেবে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ সময় বেরিয়ে আসে যে, ওই চার যুবক হলেন বাংলাদেশী। পরেরদিন সকালে একই সংস্থা আরও একটি অভিযান চালায়। লারেডোর ওলিয়ান্দার স্ট্রিটে তারা দেখতে পায় দু’জন সন্দেহজনক যুবক হাঁটাহাঁটি করছে। তারা তাদের কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তাতেও বেরিয়ে আসে যে, তারাও বাংলাদেশী। তাদেরকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হচ্ছে পাচার করে।



ওদিকে সোমবার বিকেলে যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বলেছে, সানডিয়েগো ক্রসিংয়ে অভিবাসীদের একটি দল সমবেত হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে ৫ শতাধিক অপরাধী। তারা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারে। এই দলে রয়েছে প্রাপ্ত বয়স্ক অথবা টিনেজ বালক। এ ঘটনাকে আগ্রাসন হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন তিজুয়ানার বাসিন্দা লুইস অ্যালেক্সিজ মেন্দোজা (৩০)।















Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.