Beanibazarview24.com





ভারতের উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাতের একটি পরিবার তী’ব্র অর্থক’ষ্ট এবং রো’গের কারণে অসহায় হয়ে পড়েছেন। এমন পরিস্থিতি স’হ্য করতে না পেরে প্রশাসনের কাছে সেচ্ছামৃ’ত্যুর আবেদন করেছেন তিন সদস্যের ওই পরিবারটি।
অনাহার আর পথ্যহীন জীবন ক্র’মশ ম’ন্থর হয়ে আসছে।জীবনের এই কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়ে দাঁড়িয়েছেন সঙ্গীত শিল্পী গার্গী ব্যানার্জী।
তাই অসুস্থতার নাগপাশ থেকে বেরিয়ে বাঁচার পথ দেখান, নয়তো স্বেচ্ছামৃ’ত্যুর আবেদন মঞ্জুর করুন। সরকারের কাছে এমন আবেদনই জানিয়েছেন গার্গী ও তার পরিবারের বাকি দুই সদস্য।
উত্তর চব্বিশ পরগনার বারাসতের বাণী নিকেতন রোডের এক চিলতে ফ্ল্যাটে নিজের বাবা ও মাকে নিয়ে থাকেন গার্গী দেবী। দারিদ্র এমনভাবেই গ্রাস করেছে যে পরিবারটি স্বেচ্ছামৃ’ত্যুর আবেদন জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন জেলা প্রশাসক চৈতালী চক্রবর্তী এবং বারাসত পৌরসভার পৌর প্রধান সহ প্রসাশনিক আধিকারিকদের কাছে।
এক সময়ের সম্ভ্রান্ত পরিবার হিসেবেই পরিচিতি ছিল গার্গীর পরিবারের। বছর পঞ্চাশের গার্গীর সঙ্গে এখন থাকেন রু’গ্ন বাবা-মা। বাবা কমল ব্যানার্জির বয়স ৮২ বছর ও মা গীতা ব্যানার্জির বয়স ৭৬ বছর। পথ্য তো দূর গত কয়েক বছর ধরে দুমুঠো ভাত জোটে না তিনজনের। রাষ্ট্র বিজ্ঞানে স্নাতক ও সংগীতে পিএইচডি গার্গী দেবী।
একটি স্বেচ্ছা সেবী সংস্থা পাশে দাঁড়ালেও আত্মস’ম্মানের স্বার্থে আর হাত পাততে রাজি নন ব্যানার্জী পরিবার। বারাসত পৌরসভার চেয়ারম্যান সুনীল মুখার্জি খোদ আশ্বা’স দেওয়ার পরেও কোন সুরাহা না হওয়ায় শেষমেশ অন্তিম এই পদক্ষেপেই অবিচল থাকতে চান ব্যানার্জী পরিবার।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.