Beanibazarview24.com






আমেরিকার মিশিগান স্টেইট এর ট্রয় সিটিতে ২০ বছর বয়সী এক বাংলাদেশী যুবক তার আপন চাচীকে শরীরচর্চার ১৫ পাউন্ড ওজনের ডাম্বেল দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। নিহত রুবাব ফেরদৗস হক পেশায় একজন ডাক্তার ছিলেন এবং তিনি ছিলেন মিশিগান বাংলাদেশী কমিউনিটির অত্যন্ত স্নেহভাজন একজন কমিউনিটি মেম্বার।



পুলিশের বরাতে জানা যায় যে, সোমবার দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে নিহতের পরিবারের কোন এক সদস্যের ফোন পায় পুলিশ। পুলিশ ৯১১ নাম্বারে ফোন পেয়ে সাথে সাথে রুবাব হকের বাসায় পৌছায় এবং বাসার বেইসমেন্ট থেকে ডা: রুবাব ফেরদৌস হকের লাশ উদ্ধার করে।



সন্দেহভাজন মসরুর তখন বাসা থেকে পালিয়ে যায়। মসরুরকে খুজতে গিয়ে একজন পুলিশ অফিসার তাকে পাশের এক বাসায় দেখতে পান। তখনই সে বাসার জানালা দিয়ে লাফ দিয়ে দৌড়ে পার্শ্ববর্তী এলাকায় লুকিয়ে পড়ে।
তাকে গ্রেফতার করতে অনেক পুলিশ অফিসার হেলিকপ্টার সহ প্রায় দেড় ঘন্টা খুজাখুজি করে অবশেষে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এদিকে আসামীকে ধরার জন্য পুলিশি অভিযান চলাকালে অত্র এলাকার চারটি স্কুল এর ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে ছুটি না দিয়ে স্কুলে আটকে রাখা হয়।
মসরুর University of Michigan এর ছাত্র বলে জানাে গেছে। বুধবার তাকে আদালতে হাজির করা হলে জামিন নামন্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। এ ঘটনায় মিশিগান বাংলাদেশী কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এদিকে নিহত ডা: রুবাব হকের ছেলে ফারহান হক মঙ্গলবার ফেসবুকে তার মায়ের সম্পর্কে এবং তাদের জীবনে মায়ের অবদান বর্ননা করে একটি পাবলিক পোস্ট করেছেন। তার পোস্ট থেকে জানা যায় যে তার বয়স যখন মাত্র ১২ বছর তখন তার বাবা ফুসফুসে ক্যান্সারে মারা যান।
তিনি এবং তার ছোট এক ভাইকে তার মা নিহত ডা: রুবাব ফেরদৌস হক অনেক যত্নে লালন পালন করেন এবং একাই সংসার চালিয়ে তাদেরকেও ডাক্তারী পড়ান এবং সমাজে সম্মানিত মানুষ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেন। তাদের বাড়ী বাংলাদেশে সুনামগঞ্জে ছাতক উপজেলায়।
বাবাহারা সন্তানদের মা ই ছিলেন একমাত্র অনুপ্রেরণার উৎস। মাকে হারিয়ে তিনি গভীরভাবে শোকাহত। ফারহান হক তার মায়ের জন্য সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন।
Comments are closed.