Beanibazarview24.com





দ্বিতীয় বি’শ্বযু’দ্ধের পর পৃথিবীর সামনে সবচেয়ে বড় চ্যা’লেঞ্জ হয়ে এসেছে মহা’মা’রী করোনা ভাইরাস। দেশে দেশে চলছে ল’কডা’উন, ঘরে ব’ন্দি মানুষ। তারপরেও প্রতিদিনই মৃ’ত্যুর মি’ছিলে যোগ হচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। আ’ক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে হু হু করে। এরই মধ্যে বিশ্বজুড়ে এই ভাইরাসে আ’ক্রান্ত হয়েছেন প্রায় সাড়ে ১৬ লাখেরও বেশি মানুষ। মৃ’ত্যুর সংখ্যা প্রায় লাখ ছুঁই ছুঁই। কার্যকর কোন ওষুধ নেই, নেই কোন প্রতিষে’ধক।



তবে গবেষকরা দাবি করলেন, করোনাকে কাবু করার সবচেয়ে কা’র্যকরী অ’স্ত্র তৈরি করে ফেলেছেন তারা। করোনা থেকে রক্ষা পেতে ওষুধ আবিষ্কারের দাবি করেছেন জাপানের বিজ্ঞানীরা। আশার কথা হলো- এটি এখন বাংলাদেশেও তৈরি হচ্ছে।
জাপানের ফু’জিফিল্ম তয়োমা ফার্মা’সিউটিক্যালস লি. তৈরি করেছে ফ্যাভিপিরাভির ‘অ্যা’ভিগা’ন’ নামে ট্যাবলেট। যা কিনা করোনা ভাইরাসকে কার্যকরভাবে মে’রে ফে’লতে সক্ষম।
এরই মধ্যে অন্তত ডজনখানেক ওষুধ যেমন- ফ্যা’ভিপি’রাভির, রেমডেসিভির, ইন্টারফেরন আলফা টুবি, রিবাভিরিন, ক্লোরোনকুইনিন, লোপিনাভির এবং আরবিডল কভিড-১৯ চিকিৎসার সারিতে জমা হয়েছে। সরাসরি নভেল করোনাভাইরাসের জন্য তৈরি না হলেও অন্য ভাইরাসের বিরু’দ্ধে কাজ করা ড্রা’গ করো’নাভাইরাস ঠেকাতে পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার শুরু হয়েছে।
করোনা ভাইরাসের চিকিৎসায় ট্যাবলেট অ্যাভিগান তৈরি করছে জাপানের ফু’জি ফিল্ম কোম্পানির সাবসিডিয়ারি ওষুধ কোম্পানি তয়োমা কেমিক্যাল। ট্যাবলেটটির জেনেরিক নাম ফ্লাভিপাইরাভির। ওষুধটি এখন বাংলাদেশের বেক্সিমকো ও বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস তৈরি শুরু করছে বলে দেশের একটি জাতীয় পত্রিকার অনলাইনের খবরে বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস আগামী রোববার (১২ এপ্রিল) ওষুধটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও ঔষধ প্রশাসনে হস্তান্তর করবে। ওষুধটি সরকারকে সরবরাহ করার পাশাপাশি যে সমস্ত হাসপাতালে করোনা রোগী আছে সেখানেও সরবরাহ করা হবে। তবে এখনই ফার্মেসিতে সরবরাহ করা হবে না। ম্যাটেরিয়াল স্বল্পতার কারণে মাত্র ১০০ রোগীর জন্য ওষুধটি তৈরি হবে, তবে এ মাসের মধ্যেই ওষুধটি উৎপাদন বাড়াতে পারবে বলে কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস যে সমস্ত হাসপাতালে করোনা রোগী ভর্তি আছে সেখানে ওষুধটি পৌঁছে দেবে। প্রতিটি ট্যাবলেটের দা’ম ৪০০ টা’কা হলেও এখন এটি বিনামূল্যে আ’ক্রান্ত রোগীদের সরবরাহ করা হবে।
ওষুধটি প্রস্তুতের পেটে’ন্ট জাপানের হলেও অনুন্নত দেশ হিসেবে তারা বাংলাদেশকে ২০৩৩ সাল পর্যন্ত ওষুধটি প্রস্তুতের অনুমোদন দিয়েছে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.