Beanibazarview24.com






সিলেটের জৈন্তাপুরে নিখোঁজ লন্ডন প্রবাসী আব্দুল গফুরের লাশের সন্ধান পেয়েছে। এঘটনায় হত্যার সাথে জড়িত ৩জন আটক। লাশ উত্তোলনের জন্য আদালতের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, জগন্নাথপুর পৌর এলাকার বাসিন্ধা যুক্তরাজ্য (লন্ডন) প্রবাসী আব্দুল গফুর ২০১৭ সালে দেশে আসেন। সিলেট দরগা এলাকায় পরিচয় হয় জৈন্তাপুর উপজেলাধীন সাইট্রাস গবেষণা কেন্দ্রের অফিস সহায়ক আবুল কালামের সাথে। ২০১৭ সালের ৮ মে আবুল কালাম তার বন্ধু জগন্নাথপুর গ্রামের নুরুল হককে সিলেট দরগা মহল্লাস্থ রাজরানী হোটেলে দেখা করার অনুরোধ করে। পারিবারিক ব্যস্ততায় নুরুল হক দেখা করতে পারেননি।
এর পর থেকে লন্ডন প্রবাসী আব্দুল গফুর নিখোঁজ হয়, আত্মীয় স্বজনরা সম্ভ্যাব্য সকল স্থানে খোঁজা খোঁজি করা করে। অবশেষে তাকে না পেয়ে গফুরের ভাতিজা লাল মিয়া একটি মোবাইল নাম্বার উল্লেখ করে জগন্নাথপুর থানায় সাধারণ ডায়েরী করে। এ ঘটনাটির রহস্য উদঘাটনে তদন্তে নামে জগন্নাথপুর থানার সেকেন্ড অফিসার হাবিবুর রহমান। তিনি তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে চেষ্টা চালিয়ে যান এবং ঘটনার রহস্য উদঘাটনে সক্ষম হয়।
২৫ নভেম্বর রবিবার বিকাল ৪টায় জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশের সহায়তায় জগন্নাথপুর থানার সেকেন্ড অফিসার হাবিবুর রহমান জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাটে অভিযান পরিচালনা করে ৩জনকে আটক করে।
আটককৃতরা হল জৈন্তাপুর সাইট্রাস গবেষনা কেন্দ্রের অফিস সহায়ক সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর সদর বাক্ষণগাঁও উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত মর্তুজ আলীর ছেলে আবুল কালাম আজাদ(৫২), তার জামাতা জৈন্তাপুর দারুস সুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক, কুমিল্লা জেলার হোমনা থানার দত্তের কান্দি গ্রামের মৃত আব্দুল কুদ্দুছের ছেলে আনোয়ার হোসেন(৩০), জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট মোকামটিলা গ্রামের মোঃ ইদ্রিছ আলীর ছেলে মোঃ জুনাব আলী(৪২)।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশি জিজ্ঞাসাদে আটককৃতরা ঘটনার কথা স্বীকার করে এবং মাটি চাপা দেওয়ার স্থান পুলিশকে দেখিয়ে দেয়। পুলিশ স্থানটি লাল পতাকা দিয়ে চিহ্নিত করে রাখে এবং পাহারাদার নিযুক্ত করে। তাদের দেওয়া স্বীকারোক্তি মোতাবেক পুলিশ সিলেট দরগা মহল্লাস্থ হোটেল রাজরানী হতে নিহত আব্দুল গফুরের ব্যাগ উদ্ধার করে এবং আবুল কালামের বাড়ী থেকে প্রবাসীর পাসপোর্ট উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে জগন্নাথপুর থানার সেকেন্ড অফিসার হাবিবুর রহমান প্রতিবেদককে জানান, প্রায় ১৭ মাস পর মর্মান্তিক ও হৃদয়বিদায়ক হত্যাকান্ডের ঘটনার রহস্য উদঘাটন এবং মূলহোতাদের আটক করতে সক্ষম হয়েছি। প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে টাকার লোভে প্রবাসীকে হত্যা করে লাশ জৈন্তাপুর উপজেলার মোকামটিলায় মাটি চাপা দেওয়া হয়। আদালতের নির্দেশ পেলে আমরা লাশ উত্তোলন করব।
জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ খাঁন মোঃ মাইনুল জাকির জানান ঘটনার কারণ এবং মূলরহস্য উদঘাটনের জৈন্তাপুর ও জগন্নাথপুর থানা পুলিশ ব্যাপক অনুসন্ধান চালায়। ইতোমধ্যে রহস্য উদঘাটন এবং ঘটনার সাথে জড়িত ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলা সহ অইনগত পদক্ষেপ গ্রহনের পাশাপশি অন্যান্য জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আদালতের নির্দেশ পেলে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের উপস্থিতিতে লাশ উত্তোলন করা হবে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.