Beanibazarview24.com






প্রবাসীরা অতি বিশ্বাসের সাথে নিজের কষ্টার্জিত সম্পদ আপনজন বা অপরিচিত গভীর সম্পর্কের মানুষটির হাতে তুলে দেন স্বজনদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য। কিন্তু সবাই কী পারে সে বিশ্বাসের মর্যাদা দিতে?



এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ-এর সদস্যরা সম্প্রতি ঘটে যাওয়া তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। যে ঘটনাগুলো ভবিষ্যতে চলতে সর্তকতামূলক ভূমিকা রাখতে পারে।
গল্প-০১: জনৈক ব্যক্তি তার সাথে কাজ করা এক সহকর্মীর হাতে টাকা পাঠিয়েছেন। সহ-কর্মী ঢাকায় আসার আগেই ছিনতাইকারীকে খবর দিয়ে রাখলেন। এয়ারপোর্ট এ নামার পরই গোলচত্তরে প্রেরণকারীর আত্মীয়- স্বজনের সামনেই রাস্তায় টাকা ছিনতাই হয়ে গেল। টাকার পরিমাণ ৪০,০০০ ডলার।
গল্প-০২: চাচাতো ভাইয়ের হাতে ভাই দুইটি গোল্ডের বিস্কুট পাঠিয়েছে। বাসায় গিয়ে বললেন এয়ারপোর্ট এ ভয় দেখিয়ে রেখে দিয়েছে। বাসার লোকজন জিডি করে অফিসে হাজির। শুরু হল সবাইকে নিয়ে সিসিটিভি ফুটেজ দেখা। দেখার পর কিছু না পেয়ে চাচাতো ভাই অজ্ঞান হয়ে গেলেন।
গল্প-০৩: বোন থাকে জর্ডান। দুলাভাই শ্যালিকার হাতে বাংলাদেশ থেকে তার কাছে টাকা পাঠালেন। শ্যালিকা জর্ডান গিয়ে জানালেন টাকা এয়ারপোর্ট এ রেখে দিয়েছে। সিসিটিভিতে দেখা গেল তিনি নিজেই একজনকে টাকা বের করে দিচ্ছেন।
গল্প-০৪: দুই বন্ধু ৫ বছর একসাথে বাহারাইন থাকেন। একসাথে এসেছেন ছুটিতে। এয়ারপোর্ট এ নামার পর একজনের হাতব্যাগ রাখতে দেন বন্ধুর কাছে। গাড়িতে ওঠার পর দেখেন হাতব্যাগে রাখা হাতের বালা দুইটি নেই। কি করবেন-এত দিনের বন্ধু-বলতেও পারছেন না আবার এত সাধ করে আনা জিনিসের মায়াও ছাড়তে পারছেন না।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.