Beanibazarview24.com





মহেশখালীতে ৬ এসএসসি পরীক্ষার্থীসহ ৮ নারী ও শিশুকে অপহরণ করার ঘটনায় সকলকেই উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। রাত সাড়ে ১২ টায় এ রিপোর্ট লেখার সময় মহেশখালী থানার ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।মঙ্গলবার উপজেলার ছোট মহেশখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।কারা, কেন ওই এসএসসি পরীক্ষার্থীদের অপহরণ করছিল সে বিষয়েও ইতিমধ্যে জানা গেছে।



মহেশখালী এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ আজম নামের এক যুবকের সঙ্গে কলি নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর প্রেমঘটিত কারণে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান মহেশখালী থানার ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধর। পৌর এলাকার পুটিবিলা মাদ্রাসাকেন্দ্রের ওই ছয় পরীক্ষার্থীকে ফুসলিয়ে আজম তার বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে পাহাড়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল। মাঝ পথে বন্ধু পরিচয়ে আজমের সঙ্গে যুক্ত হয় আরও ৪ অজ্ঞাত যুবক।



এসময় যুবকদের খারাপ পরিকল্পনা আন্দাজ করতে পেরে মেয়েগুলো চিৎকার দিচ্ছিল। এসময় গ্রামবাসিদের ধাওয়ায় ওই যুবকেরা পাহাড়ের গহীনে পালিয়ে যায়।
ঘটনার পরপরই ছোট মহেশখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জিহাদ আলী যুগান্তরকে জানিয়েছিলেন, স্থানীয় পাহাড়ি এলাকা আছদ আলী পাড়া এলাকায় সন্ধ্যার পর একদল অজ্ঞাত বন্দুকধারি হঠাৎ গ্রামে ঢুকে পড়ে। তারা এলাকার ৬/৭ জন নারী ও ৪ বছর বয়সি এক শিশু সন্তানকে বন্দুকের মুখে জিম্মি করে দ্রুত পাহাড়ের দিকে নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, খবর ছড়িয়ে পড়লে মসজিদে মাইকিং করা হয়। পরে গ্রামবাসি ধাওয়া দিলে সন্ত্রাসীরা ৬ নারীকে ফেলে অন্য দুজনকে নিয়ে পাহাড়ের গভীরে চলে যায়।
এরপর পুলিশি অভিযান চালিয়ে অপহরণকারীদের চেনে এমন এক কিশোরকে আটক করা হয়। তারা সবাই পুলিশের হেফাজতে আছেন বলে জানিয়েছেন চেয়ারম্যান জিহাদ বিন আলী।
মহেশখালী থানার ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধর জানান, পুলিশের অভিযানে সকলকেই উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। ঘটনার বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে। বিষয়টির সার্বিক খোঁজখবর নিচ্ছেন বলে জানান মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার জামিরুল ইসলাম।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.