পর্তুগালে অফিসিয়ালি সেইফ এন্ট্রি বন্ধ হয়ে গেছে। মাত্র তিন ঘণ্টার মধ্যে প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষর নিয়ে বাস্তবায়ন করা হয় এই নির্দেশনা। এখন থেকে শুধু ওয়ার্ক ভিসা, স্টুডেন্ট এবং ফ্যামিলির জন্য পথ খোলা আছে।
এতদিন যে যেভাবে পেরেছে দেশটিতে ঢুকেছে। তবে এখন আর সেই পথ নেই। যদিও হাজার হাজার বাংলাদেশি রোমানিয়া, ক্রোয়েশিয়া, সার্বিয়া হয়ে পর্তুগালের কার্ডের স্বপ্ন দেখছে। তাদের জন্য এখন শুধুই হতাশা।
তবে পুরনো যাদের কার্ড আছে কিংবা প্রসেসিং আছে, তাদের জন্য এটা আশীর্বাদ। কেননা সবাই লাল পাসপোর্টের জন্যই এত এত কষ্ট আর ত্যাগ স্বীকার করেন। তাদের কাজের হয়ত এবার অগ্রগতি হবে।
সরকারি হিসাব মতে, চার লাখ প্রসেস পেন্ডিং রয়েছে। কিন্তু অভিবাসী নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন সংগঠনের দাবি, এর প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি।
এখানে যারা আছেন তারা জানিয়েছেন, বছরের পর বছর তারা ট্যাক্স দিয়ে চলেছেন। কিন্তু এপয়েনমেন্ট পাচ্ছেন না, আবার ফিংগার হয়েছে তো কার্ড আটকে আছে। যাদের কার্ড হয়েছে রিনিউ করতে পারছেন না।
আবার রিনিউ করেছেন তো কার্ড পাচ্ছেন না। আবার কার্ড পেলেও পরিবার আনতে পারছেন না। ন্যাশনালিটি আবেদন করার পর মাসের পর মাস তা আটকে আছে। এজন্য যারা ইতোমধ্যে চলে এসেছে তাদের যেন এদেশে একটি সাচ্ছন্দ্যময় জীবন হয়, সেটা নিয়ে চিন্তা করা উচিত বলে মনে করেন পর্তুগাল প্রবাসীরা।