Beanibazarview24.com
উড়োজাহাজ বা বিমানে যাত্রী সংখ্যার তুলনায় টয়লেটের সংখ্যা সীমিত। কোন কোন মডেলের বিমানে প্রতি ৫০ জন যাত্রীকে একটি টয়লেট ব্যবহার করতে হতে পারে। তবে সাধারণভাবে প্রতি ২৫ জন যাত্রীর জন্য একটি টয়লেট থাকে। নারী ও পুরুষ যাত্রীদের জন্য টয়লেট আলাদা করা থাকে না।
দীর্ঘ যাত্রাপথে একটি নির্দিষ্ট সময়ে একসঙ্গে অনেক যাত্রী টয়লেটে যাওয়ার প্রয়োজন অনুভব করতে পারেন। এমন পরিস্থিতিতে টয়লেটে যাওয়ার জন্য ধৈর্য্য ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হতে পারে।
টয়লেটের ভেতর কেউ আছেন কিনা তা লাল ও সবুজ বাতির সাহায্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রদর্শন করা হয়।
টয়লেটের দরজা ভিতর থেকে লাগানো থাকলে বাইরে লাল রঙের সংকেত দেখা যায়। যাত্রী দরজা খুলে বাইরে বেরিয়ে আসলে সংকেত সবুজ রঙে পরিবর্তিত হয়ে যাবে।
তাই টয়লেটে প্রবেশের জন্য দরজা ধাক্কাধাক্কি করার প্রয়োজন হয় না। টয়লেটের ভেতর খুব অল্প জায়গায় একটি কমোড ও একটি বেসিন বসানো থাকে।
কোন কোন টয়লেটে ছোট শিশুদের ডায়াপার বদলানোর সুবিধার্থে একটি উঁচু জায়গা থাকে। কমোডে পানি ব্যবহারের সুযোগ নেই। টিস্যু ব্যবহার করতে হবে। কমোডের ভেতরে ব্যবহৃত টিস্যু পেপার বা স্যানিটারি ন্যাপকিন ফেলা নিষিদ্ধ।
এসব ফেলার জন্য টয়লেটের ভেতরে রাখা বিন ব্যবহার করতে হবে। যথাসম্ভব কম সময়ে টয়লেট ব্যবহার করে কমোড ফ্লাশ করে বাইরে বেরিয়ে আসতে হবে।
কোন যাত্রী অস্বাভাবিক দীর্ঘ সময় টয়লেটে অবস্থান করছেন, তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বা কোন বেআইনি কাজ করছেন মনে করলে কেবিন ক্রুগণ বিশেষ কৌশলে দরজা খুলে ফেলার ক্ষমতা
রাখেন।
ফ্লাইট অবতরণের প্রস্তুতিকালে টয়লেটে থাকা যাবে না। এ সময় কোন যাত্রী টয়লেটে থাকলে কেবিন ক্রুগণ তাকে দ্রুত বের হয়ে আসতে তাগিদ দিবেন। টয়লেটে বসে ধূমপান বা ই-সিগারেট সেবন করলে কেবিন ক্রুগণ তা বুঝতে পারবেন এবং ফ্লাইট অবতরণের পর যাত্রীকে এয়ারপোর্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বিচারের জন্য সোপর্দ করতে পারবেন।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.