Beanibazarview24.com






বিয়ানীবাজারগামী একটি শ্যামলী বাস থেকে গত সোমবার রাতে যুক্তরাজ্য প্রবাসীর একটি লাগেজ গায়েব হওয়ার ঘটনায় শ্যামলীর, চালক, সুপারভাইজার ও হেল্পারকে থানায় দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। এ ঘটনায় আটককৃতদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ শ্যামলী বাসটি জব্দ করেছে।



এ ঘটনার জের ধরে জেলা পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সেলিম আহমদ ফলিকের নির্দেশে বিয়ানীবাজার থেকে ঢাকাগামী বাস চলাচল বন্ধ করে দেন বিয়ানীবাজারের সব বাস কাউন্ডারের দায়িত্বশীলরা। তারা বলেন, বাস চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। কবে চালু হবে তা এই মুহূর্তে বলা সম্ভব না।
বিয়ানীবাজার শ্যামলী বাস কাউন্টারের পরিচালক ও বিয়ানীবাজার পরিবহন ঐক্য পরিষদের আহবায়ক মানিক উদ্দিন বলেন, অনাকাঙ্খিত ঘটনার সুষ্ঠু সমাধানে না গিয়ে প্রবাসীরা স্বজনরা আমাদের সাথে খুব খারাপ আচরণ করেছেন। তারা আমাদের ন্যূনতম কোন সুযোগ না দিয়ে চালকদের থানা হাজতে দিয়ে বাসটি জব্দ করেন। বিষয়টি আমরা উর্ধ্বতন দায়িত্বশীলদের জানিয়েছি।
তিনি বলেন, যেকোন ঘটনা ঘটলে এর সুষ্ঠু সমাধান আছে। বিয়ানীবাজারে তা হয়েও থাকে। কিন্তু যেকোন কারণে হোক সোমবারের ঘটনাটির সুষ্ঠু কোন সমাধান হয়নি। তিনি জানান, আইনিভাবে চালকদের মুক্ত করা হবে।
ঢাকাগামী বাস চলাচল বন্ধ হওয়ায় সকালে টিকেট নেয়া যাত্রীদের মোবাইল ফোনে বাস চলাচল বন্ধ করার বিষয়টি জানিয়ে দেয়া হয় কাউন্টার থেকে। বিয়ানীবাজার থেকে কোন বাস ছেড়ে না যাওয়ায় ঢাকাগামী যাত্রিরা দুর্ভোগে পড়েন। শেষ মুহূর্তে জানিয়ে দেয়ায় তারা বিকল্প উপায়ে যেতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছেন।
ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন দৌলা হোসেন। তিনি বলেন, আমার ভাই ঢাকা যাওয়ার জন্য সকালে টিকেট নেই। বিকাল ৪টায় বাস যাবে না বলে কাউন্টার থেকে জানানো হয়। তিনি বলেন, অনৈতিককাজে যুক্ত থাকলে আইনি পদক্ষেপ নেয়া প্রত্যেক মানুষের দায়িত্ব। এখানে প্রবাসী আইন নিজের হাতে তুলে না নিয়ে পুলিশের সহযোগিতা নিয়েছেন। তাতেই বাস চলাচল বন্ধ। এখন মনে করেন আমরা কোথায় আছি!
বিয়ানীবাজার থানার ওসি অবনী শংকর কর বলেন, প্রবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানায় মামলা করা হয়েছে। শ্যামলী বাসটি জব্দ এবং চালকসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সোমবার ঢাকা থেকে বিয়ানীবাজারগামী শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসে করে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল নেতা সাহাব উদ্দিন চঞ্চল উঠেন। তার সাথে থাকা তিনটি লাগেজ বাসের টোল বক্সে অন্যান্য যাত্রিদের সাথে রাখেন। বিয়ানীবাজারে আসার পর দুইটি লাগেজ পেলে একটি পাননি। এ ঘটনা জানাজানি হলে তার স্বজনরা বাসটি পৌরশহরের মাধবাজারে আটকে দেন। বিক্ষুব্ধ জনতা লাগেজ ফিরে না পেয়ে চালকসহ বাসের তিনজনকে পুলিশে সোপর্দ করেন। পুলিশ শ্যামলী বাসটি জব্দ করে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.