Beanibazarview24.com
এক দেশ থেকে অন্য দেশে যেতে সাধারণত বিমান ওড়ানো হয়। এছাড়াও একটি দেশের ভেতরেও দূরের পথ পাড়ি দিতে অনেকেই বিমানে চড়েন। যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিমানবন্দর একটি বড় ভূমিকা পালন করে। তথাপি বিশ্বের এমন কিছু দেশ আছে যেখানে বিমান ওঠা-নামা করে না। অর্থাৎ ওইসব দেশে বিমানবন্দর নেই।
পৃথিবীতে পাঁচটি দেশের স্থলসীমায় নেই একটিও বিমানবন্দর। অর্থাৎ দেশের ভেতরে কোনো বিমান ওঠানামা করে না। অবিশ্বাস্য শোনালেও এটাই সত্যি। তবে এই দেশগুলোর সরকারকে যে স্বেচ্ছায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা নয়। নিরুপায় হয়েই বিমান যোগাযোগের সুবিধা কাজে লাগাতে পারছে না দেশটি।
পৃথিবীতে পরিবহনের অন্যতম মাধ্যম হল বিমান। দেশীয় বা আভ্যন্তরীণ বিমান চলাচল যেকোনো দেশের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। একটি শহরের বিমানবন্দর থেকে কতগুলো উড়ান পরিচালিত হয়, তার উপর নির্ভর করে আন্দাজ করা যেতে পারে সেই শহরের সমৃদ্ধির বহর। কারণ এই বিমান পরিবহনের উপর নির্ভর করে থাকে বাণিজ্য।
জানুন কোন কোন দেশে বিমানবন্দর নেই। এসব দেশে বিমান ওঠা-নামা করে না
সান মারিনো
ভ্যাটিক্যান সিটির কাছে অবস্থিত সান মারিনো পৃথিবীর প্রাচীনতম রাজতন্ত্রের অন্যতম। এর পাশে ইতালি। খুব ছোট আয়তনের কারণেই এখানে কোনও বিমানবন্দর গড়ে ওঠেনি। এই দেশে রয়েছে জালের মতো ছড়িয়ে থাকা সড়ক। তা দিয়েই যাতায়াত করেন বাসিন্দারা। নিকটবর্তী বিমানবন্দর হল ইতালির রিমিনি।
ভ্যাটিক্যান সিটি
এটিকে বিশ্বের সব থেকে ছোট দেশ হিসেবে গণ্য করা হয়। মাত্র ৮০০ জন নাগরিক রয়েছেন। এর আয়তনও এত কম যে বিমানবন্দর গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি। এমনকি বিকল্প পরিবহণ হিসেবে জলপথও নেই। বলা ভালো, এটি বিশ্বের এমন একটি দেশ, যেখানে পায়ে হেঁটেই যাতায়াত করা যেতে পারে। তবু, এখানে রেলের ব্যবস্থা রয়েছে। রেল যোগেই মাত্র আধঘণ্টায় পৌঁছে যাওয়া যেতে পারে নিকটবর্তী ফিউমিসিনো এবং সিয়াম্পিনো বিমানবন্দরে।
এন্ডোরা
ফ্রান্স এবং স্পেনের মধ্যবর্তী অংশে অবস্থিত এই দেশটি সম্পূর্ণই পাহাড়ি। চারপাশে প্রায় ৩০০০ মিটার পর্যন্ত উঁচু পর্বত রয়েছে, যা বিমান ওঠা-নামার পক্ষে বিপজ্জনক। এর আশপাশে রয়েছে বার্সেলোনা, গিরোনার মতো বিমানবন্দর।
মোনাকো
বিশ্বের দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম রাষ্ট্র হল মোনাকো। এর তিনটি সীমান্তই ফ্রান্সের। এখানেও কোনো বিমানবন্দর নেই। ফ্রান্সের নিস কোট ডি’অজুর বিমানবন্দরই নিকটতম।
লিচেনস্টাইন
৭৫ কিলোমিটারের কম পরিধিযুক্ত একটি রাষ্ট্র হল লিচেনস্টাইন। তার ওপর এটিও পর্বতবেষ্টিত। তার ওপর এখানে রয়েছে কিছু কূটনৈতিক সমস্যাও। এসব কারণেই এখানে বিমানবন্দর গড়ে তোলা হয়নি। নাগরিকরা গাড়ি বা বাসে চড়ে পাড়ি দেন প্রায় ১২০ কিলোমিটার পথ। সেখানই রয়েছে নিকটতম বিমানবন্দর জুরিখ।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.