Beanibazarview24.com
মিশরের আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক রিসার্চ কমপ্লেক্স আয়োজিত এক প্রতিযোগিতায় চার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী বিজয়ী হয়েছেন। ‘আমার দেশের সংস্কৃতি’ শীর্ষক এ প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছেন দুই বাংলাদেশি শিক্ষার্থী। তৃতীয় ও চতুর্থ হয়েছেন আরও দুই বাংলাদেশি।
মিশরের পর্যটন ও প্রত্নতত্ত্ব মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও আল-আজহারের সব বিভাগের সহযোগিতায়, পরচিতি, দক্ষতা, জ্ঞান, সংস্কৃতি, পর্যটন ও মিশরের সভ্যতা, প্রযুক্তি, আধ্যাত্মিক, প্রচারণা, বিশেষ বাছাই ও সাক্ষাৎকারসহ ১০টি ক্যাটাগরিতে কয়েক ধাপে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় মিশরীয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।
প্রথম বিজয়ী বাংলাদেশি দুই শিক্ষার্থী পাবনার তলট, সাঁথিয়ার মো. আনোয়ার হোসেনের ছেলে মনিরুল ইসলাম ও ময়মনসিংহের ত্রিশাল বাজারের মুহাম্মদ সোলাইমান শেখেল ছেলে মুহাম্মদ মারুফ হুসাইন সাদ্দান পেয়েছেন জনপ্রতি ২৫ হাজার মিশরীয় পাউন্ড। তৃতীয় ও চতুর্থ বিজয়ী পেয়েছেন মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান থানার নাফিস মাহমুদ ১০ হাজার পাউন্ড ও চতুর্থ বিজয়ী সাবির আহমেদ গোফরান পেয়েছেন পাঁচ হাজার পাউন্ড।
এছাড়া দেশটির পর্যটন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিজয়ীদের কায়রো ও ফাইয়ুম জেলার বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থানগুলো ঘুরে দেখানোসহ ৬০ জন বিজয়ীকে ৩০টি পুরস্কার দেওয়া হয়।
ইসলামিক রিসার্চ কমপ্লেক্সের মহাসচিব ড. নাযির আইয়াদ বলেন, প্রতিযোগিতার মূল লক্ষ্য ছিল মিশরীয় সংস্কৃতির সঙ্গে অন্য দেশের মানুষকে পরিচয় করানো। আর সেটা করা হয়েছে দুজন শিক্ষার্থীর মাঝে সহপাঠির বন্ধন তৈরির মাধ্যমে। দুজনের একজন মিশরী অপরজন বিদেশি। যারা মিশরের মাটিতে আল-আজহারে পড়াশোনা করছে।
ড. নাযির আইয়াদ আরও বলেন, মিশরী শিক্ষার্থীরাও অন্য দেশের ভাষা, সংস্কৃতি, রীতিনীতি, অভ্যাস-আচরণ ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে পেরেছে। ঐতিহাসিক, প্রত্নতাত্ত্বিক, সভ্যতার নিদর্শনমূলক স্থানগুলো পরিচিত করানোর মাধ্যমে মিশর ভ্রমণের প্রতি ভিনদেশিদের উৎসাহিত করা হয়েছে।
প্রথম বিজয়ী মো. মনিরুল ইসলাম তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, এমন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে নিজের দেশকে তুলে ধরতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। বিশেষ করে আমাদের দেশের সাংস্কৃতিকে বিদেশিদের সামনে পরিচয় করিয়ে দেওয়াটাকে খুবই ভালো কাজ এবং আনন্দের মনে করি।
আমার বিদেশের মাটি থেকে উচ্চশিক্ষা অর্জন এবং আগামী সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য উৎসাহ প্রদানকারী আমার বাবা ও মায়ের কাছে কৃতজ্ঞ।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.