Beanibazarview24.com





ভারতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ইস্যুতে মুসলমানদের ওপর যে অত্যাচার চালানো হচ্ছে, তার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন (অল ইন্ডিয়া মজলিসে ইত্তেহাদুল মুসলিমীন (এআইএমআইএম) নেতা আসাদুদ্দিন ওআইসি। ক্ষোভের সাথে তিনি জানান, মুসলমানরা গরু-বাছুর নন, তারাও মানুষ।
গতকাল ভারতের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে একটি খবর ভাইরা হয়ে যায়। তাতে দেখা যায় এক ব্যক্তির গায়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের চিহ্ন ‘ওঁ’ খোদাই করা আছে।
অভিযোগে জানা গেছে, নাবীর নামের ওই মুসলিম বন্দীর গায়ে তিহার জেলে জোরপূর্বক ওই ট্যাটু করিয়ে দেয়া হয়। লোহা গরম করে তা দিয়ে এ ট্যাটু বানানো অভিযোগ ওঠে।
দিল্লির একটি আদালত স্বল্প সময়ের মধ্যে এ ব্যাপারে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত রিপোর্ট দেয়ার আহ্বান জানান।
বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন আসাদুদ্দিন ওয়াইসি। এক টুইটে তিনি লিখেন, প্রতিদিন নতুন নতুন উপায়ে সংখ্যালঘুদের হেনস্থা ও অপমানিত করা হচ্ছে। এ রকম আচরণ নির্মম ও অমানুষিক। মুসলিমরা গরু বাছুর নয়। তারাও মানুষ। (এখন এটা যেন না বলা হয় নাবিরের গায়ে ওই বিশেষ চিহ্ন খোদাই করার পিছনে অন্য কারণ আছে)৷
গত শুক্রবার দিল্লির এক আদালতে নাবির নামের তিহার জেলের এক বন্দি জেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তার ওপর অকথ্য অত্যাচারের অভিযোগ আনেন। অভিযোগে তিনি জানান, তাকে মারধরের পর উপোস করিয়ে রাখা হয়েছিল। তারপর পিঠে ‘ওঁ’ চিহ্ন লিখে দেয়া হয়। দিল্লি কোর্টে জামা খুলে পিঠের ওই চিহ্নটিও দেখান নাবির। তারপরই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেন দিল্লি আদালত।
এই ঘটনা গোটা দেশে আলোড়ন ফেলে দিয়েছে৷ মিডিয়া রিপোর্টে বলা হয়েছে নাবিরের পিঠে ওই চিহ্ন জেল সুপারিন্টেন্টেড লিখেছেন। তবে জেল কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগ অস্বীকার করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। নাবিরকে তিহার জেলের ৪ নম্বর সেলে রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে গরুর মাংস বিক্রির অভিযোগে আসামের এক বৃদ্ধ ব্যবসায়ীকে গরুর মাংস খেতে বাধ্য করেছিল হিন্দু উগ্রবাদী যুবকরা। এসব বিষয়ের প্রতি ইঙ্গিত করে ওআইসি টুইটারে ওই কথা বলেন।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.