Saturday, July 27, 2024
Google search engine
Homeআলোচিতযুক্তরাজ্যের সান্ডওয়েলের প্রথম বাঙালি নারী মেয়র সিলেটরে আমিনা

যুক্তরাজ্যের সান্ডওয়েলের প্রথম বাঙালি নারী মেয়র সিলেটরে আমিনা

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার মেয়ে সৈয়দা আমিনা খাতুন এমবিই যুক্তরাজ্যের সান্ডওয়েল কাউন্সিলের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।

যুক্তরাজ্যের মিডল্যান্ডসের সান্ডওয়েলের প্রথম বাংলাদেশী মুসলিম নারী মেয়র আমিনা খাতুনের বাড়ি উপজেলার সৈয়দপুর শাহারপাড়া ইউনিয়নের সৈয়দপুর আগুনকোনা গ্রামে। তার জন্ম সৈয়দপুর গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের সৈয়দ মদব্বির আলী ও নূরিয়া বিবি দম্পতির বড় মেয়ে।

তাঁর মেয়র হওয়ার খবরে দেশে থাকা স্বজনদের মধ্যে আনন্দ উচ্ছ্বাস দেখা গেছে।

পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৯৬৯ সালে সৈয়দপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন সৈয়দা আমিনা খাতুন। ১৯৭৫ সালের অক্টোবর মাসে ছয় বছর বয়সে বাবার হাত ধরে তিনি যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান। সেখানে পড়াশোনার পাশাপাশি সামাজিক কাজে জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে সক্রিয় হন রাজনীতিতে। ১৯৯৯ সালে লেবার পার্টির হয়ে প্রথমবারের মতো স্যান্ডওয়েল মেট্রোপলিটন টিপটন গ্রিন এলাকা থেকে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।

২০০৪ সালে ব্রিটিশ সরকার তাকে সামাজিক কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ এমবিই খেতাব দেয়। তিনি বামিংহামের স্যান্ডওয়েল সিটি কাউন্সিল থেকে লেবার পার্টির প্রার্থী হয়ে ষষ্ঠবারের মতো টানা কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। এবার তিনি মেয়র নির্বাচিত হয়ে গত ২৩ মে মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।

সৈয়দপুর আদর্শ কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ যুক্তরাজ্যে বসবাসরত সাংবাদিক মুহাম্মদ শাহেদ রাহমান জানান, স্যান্ডওয়েল সিটি কাউন্সিলের ইতিহাসে প্রথম মুসলিম ও বাঙালি নারী মেয়র নির্বাচিত হয়ে আমাদের মুখ উজ্জ্বল করছেন সৈয়দা আমিনা খাতুন। তাঁর গৌরবে যুক্তরাজ্যের বাঙালি কমিউনিটি গৌরবান্বিত।

দেশে থাকা তাঁর চাচাতো ভাই সৈয়দ মাজুর জানান, ২০২২ সালে সৈয়দা আমিনা খাতুন তাঁর মা কে নিয়ে সর্বশেষ দেশে এসে কিছুদিন বাড়িতে সময় কাটিয়ে গেছেন। দেশে থাকা আত্বীয় স্বজনদের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক ও যোগাযোগ রয়েছে। সুযোগ পেলে তিনি দেশে আসেন এবং এলাকার হতদরিদ্র পরিবারের মধ্যে আর্থিক সহায়তা ও মানবিক সেবামূলক কাজ করেন।

তিনি বলেন, দুই ভাই আট বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। বিয়ে করেছেন চাচাতো ভাই সৈয়দ রাজা মিয়াকে। দাম্পত্য জীবনে তিনি দুই ছেলে দুই মেয়ের জনক।

মেয়র নির্বাচিত হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় সৈয়দা আমিনা খাতুন বলেন, ১৯৮৭ সাল থেকে আমি স্যান্ডওয়েল সিটি এলাকায় নারী ও শিশুদের শিক্ষা, ভাষা নিয়ে কাজ করছি। এছাড়াও বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজে উদ্ধুদ্ধকরণের ভূমিকা রাখছি। আমি আমার বাবার নামে ট্রাস্ট গঠন করে পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে দেশে মানবিক সহায়তা কার্যক্রম চালিয়ে আসছি। আজীবন মানুষের জন্য কাজ করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বলেন, এ বিজয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে যুক্তরাজ্যের মূলধারার রাজনীতিতে ব্রিটিশ বাঙালি তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে হবে। তাঁর এ সাফল্যের জন্য তিনি প্রবাসী বাংলাদেশীদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Last Post