Beanibazarview24.com






সবাইকে কাঁদিয়ে পরপারে চলে গেলেন কামরুল হাছান (৩৫) নামে প্রবাসী যুবক। সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে বেশ পরিচিতি ছিল তার। বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গেও জড়িত ছিলেন তিনি।
তিনি দেশটিতে একটি কোম্পানিতে ডিজাইনার হিসেবে কাজ করতেন। পরে সেখানে প্রমোশন না পাওয়াই পরে দেশে চলে গেলেও আবার নতুন ভিসা নিয়ে আসেন সৌদি আরবে।
তবে কে জানত এ আসায় তার শেষ আসা। ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস! নতুন ভিসা নিয়ে এসে আবার নতুন করে নিজেকে গুছিয়ে ভালো কিছু করে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার চেষ্টায় প্রবাস নামক পরবাসে জীবিকার তাগিদে লড়ে যাচ্ছিলেন। এত কষ্টের পরও তার মধ্যে কোন প্রকার ক্লান্তি কিংবা বড় কোন রোগ লক্ষ্য করা যায়নি।
২৪ নভেম্বর সৌদি সময় দুপুর প্রায় ২টার বুকে ব্যথা অনুভব করলে সঙ্গে থাকা রুমমেটদের সহযোগিতায় পাশের একটি মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ডাক্তাররা তাকে চেকাপ করে তার হার্টে সমস্যা ধরা পড়ে। পরে তাকে সেমুছি হাসপাতালে নেয়া হয়। প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টার পরেও কামরুলকে স্বাভাবিক অবস্থানে আনতে পারেননি কর্তব্যরত চিকিৎসকরা।
শত চেষ্টা করেও তাকে বাঁচানো যায়নি। সৌদি সময় প্রায় ৪টার দিকে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক কামরুলকে মৃত ঘোষণা করেন। সহকর্মীদের কান্নায় হাসপাতাল প্রাঙ্গণ ভারি হয়ে উঠে। ছুটে আসেন রিয়াদের অনেক পরিচিত মুখ। বন্ধু, সহকর্মীসহ হাজারো প্রবাসী।
তার মৃত্যুর খবরে হাসপাতালে কাছের মানুষটিকে শেষবারের মতো এক নজর দেখতে ছুটে আসেন সৌদি আরব প্রবাসী অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ফোরাম, রিয়াদস্থ ফেনী প্রবাসী ফোরাম ও সংগঠন শ্যাডোর সদস্যরা।
বর্তমানে নিহতের মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। দেশে পাঠানোর জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি চলছে। কামরুল হাছানের বাড়ি চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সাদেক আলী ভূঁইয়া বাড়ির আনোয়ার হোসেন দুদুর বড় ছেলে কামরুল হাসান। তার স্ত্রী ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.