Saturday, July 27, 2024
Google search engine
Homeআলোচিতসিলেটে আকস্মিক বন্যায় ডুবেছে সড়ক-মহাসড়ক, প্রস্তুত সেনাবাহিনী

সিলেটে আকস্মিক বন্যায় ডুবেছে সড়ক-মহাসড়ক, প্রস্তুত সেনাবাহিনী

সিলেটে টানা বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে চারটি উপজেলায় আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যাকবলিত এলাকার মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন। বুধবার (২৯ মে) থেকেই সিলেটের সুরমা, কুশিয়ারা ও সারি নদীর পানি ছিল বিপদসীমার ওপরে।

এদিন রাতে ভারতের মেঘালয় থেকেও নামে ব্যাপক ঢল, যাতে বন্যা দেখা দেয়। সিলেটে গত ২ বছরের মধ্যে এ বছরের মে মাসে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) পর্যন্ত সিলেটে ৭০৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

প্রবল বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে আকস্মিক বন্যায় প্লাবিত হয়েছে সিলেটের গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট ও জকিগঞ্জের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। পানিবন্দি হয়েছেন অন্তত তিন লক্ষাধিক মানুষ। এদিকে বন্যাকবলিত এলাকার মানুষদের উদ্ধার অভিযানে নামার প্রস্তুতি নিয়েছে সেনাবাহিনী।

সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মোবারক হোসাইন বলেন, ‘বন্যা পরিস্থিতির জন্য কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি ইতোমধ্যে বৈঠক করেছে। দ্রুত উদ্ধার অভিযান চলছে। সেনাবাহিনীও ইতোমধ্যে রেকি করেছে। প্রয়োজনে তারাও উদ্ধার ও ত্রাণ বিতরণে যোগ দেবে।‘

জানা যায়, বন্যায় প্লাবিত হয়েছে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কসহ ওই চার উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ অনেক সড়ক। এতে ব্যাহত হচ্ছে যোগাযোগব্যবস্থা। যান চলাচল বন্ধ রয়েছে বিভিন্ন সড়কে।

সিলেটে আকস্মিক বন্যায় ডুবেছে সড়ক-মহাসড়ক, প্রস্তুত সেনাবাহিনী


পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় সুরমা নদীর কানাইঘাট উপজেলা পয়েন্টে বিপদসীমার ১৬৬ সেন্টিমিটার ওপরে ও কুশিয়ারা নদী জকিগঞ্জের অমলসীদ পয়েন্টে ২০২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এ ছাড়াও সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় সারি নদী বিপদসীমার ৯৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং গোয়াইনঘাট উপজেলায় সারিগোয়াইন নদী ৬৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

গোয়াইনঘাটের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, বন্যায় উপজেলার ৭৫ ভাগ এলাকা প্লাবিত হয়েছে, পানিবন্দি হয়েছেন লক্ষাধিক মানুষ। পর্যটন এলাকার পর্যটকবাহী নৌকা নিয়ে উদ্ধার অভিযান চলছে। উপজেলার ৫৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে অন্তত ২৫০ পরিবার আশ্রয় নিয়েছেন।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন বলেন, ‘২০২২ সালের মে মাসে সিলেট আবহাওয়া অফিসের রেকর্ডকৃত বৃষ্টির পরিমাণ ছিল ৮৩৯ মিলিমিটার। ২০২৩ সালের মে মাসে ছিল ৩৩০ মিলিমিটার এবং ২০২৪ সালের মে মাসে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৭০৫ মিলিমিটার রেকর্ড করা হয়েছে।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Last Post