Beanibazarview24.com





বিয়ে করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অভিবাসীদের স্থায়ী বাসের অনুমতি পাওয়া নতুন বিষয় নয়। ইউরোপসহ বিশ্বের অনেক দেশে বাংলাদেশিরা এভাবে স্থায়ী বাসের অনুমতিও পেয়েছেন এবং তাদের সংখ্যা নেহাত কম নয়। বলা হয়ে থাকে ইউরোপের দেশগুলো সাধারণত পুরুষ সংকটে ভোগে বলেই প্রবাসী বিয়ের সুযোগ দেয়।



বেশ কয়েক বছর হলো সৌদি আরবে পুরুষের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কমে যাওয়ায় সৌদি সরকারও প্রবাসী বিয়ের বিষয়টি আইনগতভাবে অনুমোদন দিয়েছে। অর্থাৎ সৌদি নারীরা অভিবাসী কোন পুরুষকে বিয়ে করতে পারবেন।
এক গবেষণায় দেখা গেছে, সৌদিতে পুরুষের তুলনায় নারী বেশি হওয়ায় আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে যৌন ও মানসিক সমস্যা। নারী এবং পুরুষের মধ্যে এসব সমস্যার অনুপাত ২:১। এধরনের বিষন্ন রোগীদের প্রায় ১৫ শতাংশ আত্মহত্যা করে। পুরুষদের মধ্যে এ হার ৭ থেকে ৯ শতাংশ এবং নারীদের মধ্যে ৯ থেকে ১২ শতাংশ।প্রবাসী বাংলাদেশিরা যদি সৌদি নারীদের বিয়ে করে তাহলে পেনশনসহ নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকে।
সৌদিতে দীর্ঘদিন ধরে থাকা ড. হীরা জানান, ২০০৪ সালে দেশটির সামাজিক বীমা সংস্থা (জিওএসআই) সৌদি নারীর সাথে প্রবাসীদের বিয়ের বিষয়ে উদ্যোগ নেয় এবং সরকারের কাছ থেকে আইনগত অনুমোদন নিশ্চিত করে। এরপর থেকে সেখানে অনেক বাংলাদেশি সৌদি নারী বিয়ে করেছেন।
হীরা বলেন, যেহেতু সেখানে নারীর সংখ্যা পুরুষের অনুপাতে বেশি তাই বাংলাদেশিরা সেখানে বিয়ে করলে বিশেষ সুযোগ-সুবিধা পান। এমনকি তারা মাসিক বিশেষ ভাতাসহ পেনশনও পেয়ে থাকেন।
তিনি জানান, এসব বাংলাদেশি নাগরিকেরা সেখানে বিশেষ নিয়মে রেজিস্ট্রেশন করে সৌদি নারীকে বিয়ের অনুমতি পন। এছাড়া সৌদি পুরুষেরা একাধিক বিয়ে করার পরও যখন অনেক নারী অবিবাহিত থেকে যান, তখন বাংলাদেশিদের সাথে বিয়ে ও পারস্পারিক বোঝাপড়াও বেশ ভালো থাকে।
ড. হীরা জানান, বিয়ের পর যদি বাংলাদেশি প্রবাসীরা সৌদি স্ত্রীর সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রক্ষা করে চলেন তাহলে তা অন্য প্রবাসীদের জন্য এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্যও অনেক ইতিবাচক হয়। তবে এসবক্ষেত্রে বিবাহিত পুরুষের মাসিক ভাতা তিন হাজার রিযাল বা তার চেয়ে কম হয় বলেও জানান তিনি।
ভিডিওটি দেখতে চাইলে এখানেই ক্লিক করুন
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.