Beanibazarview24.com






তিন দিনে ৩জন রেমিট্যান্স যোদ্ধা না ফেরার দেশে চলে গেলেন। পৃথক পৃথক দুর্ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয়,তাদের সকলের বাড়ি সিলেটের বিয়ানীবাজারে।
যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান রাজ্যের মুসলিম অধ্যুষিত শহর হ্যামট্রাম্যাক এ বুুধবার দুপুর ১২ ঘটিকায় এক মর্মান্তিক গাড়ি দূর্ঘটনায় জনাব মোসলেখ উদ্দিন নামে হ্যামট্র্যাম্যাক শহরের বাসিন্দা এক প্রবাসী বাংলাদেশি মৃত্যুবরণ করেছেন। তার বয়স আনুমানিক পঞ্চাশোর্ধ। বাংলাদেশে তার বাড়ি সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলার মাথিউরা গ্রামে। তিনি মাথিউরা নিবাসী জনাব মাতাব উদ্দিনের বড় ভাই।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায় যে, বুধবার দুপুরে নিহত মোসলেহ উদ্দিন রাস্তায় গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ কোন এক শারীরিক অসুস্থতাজনিত কারণে তিনি গাড়ির নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলেন। ফলে রাস্তার পাশে অবস্থিত এক বাসায় তার গাড়ির সংঘর্ষ ঘটে। এতে তিনি মারাত্মকভাবে আহত হন। স্থানীয়দের মাধ্যমে ৯১১ নাম্বারে ফোন করা হলে পুলিশ এবং এ্যামবুলেন্স সার্ভিস ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এ ঘটনায় তার গাড়িও দুমড়ে মুচড়ে যায়।
তাকে যখন এ্যামবুলেন্স এ তোলা হয় তখন তার খিঁচুনি হচ্ছিল বলে জানা গেছে। তাই ধারনা করা হচ্ছে গাড়ি চালানোর সময় তার খিচুঁনি হয়ে থাকতে পারে। আবার কেউ কেউ জানিয়েছেন যে তিনি ডায়বেটিস এর রোগী। তাই হয়ত ডায়বেটিস জনিত কারণেও তিনি মারাত্মকভাবে শারীরিক অসুস্থতা বোধ করায় এ দূর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। হাসপাতালে নেয়া হলে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
আরেক প্রবাসী, ব্রাজিলে সড়ক দুর্ঘটনায় তারেক আহমদ (৩০) নামের বিয়ানীবাজারের এক যুবক নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টায় ব্রাজিলে সড়ক দুর্ঘটনায় সে নিহত হয়। সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত যুবক বিয়ানীবাজার উপজেলা্র দুবাগ ইউনিয়নের খাড়াভরা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য সাহাব উদ্দিনের পুত্র।
এদিকে, ব্রাজিলে বসবাসরত তারেক আহমদ’র মর্মান্তিক মৃত্যুতে শোকে বিহ্বল তাঁর স্বজনরা। এলাকাজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
অন্য আরেক রেমিট্যান্স যোদ্ধা গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ায় বাসবাসরত মোঃ জহিরুল ইসলাম খান (৩২) স্ট্রোক করে মৃত্যুবরণ করেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ফিলাডেলফিয়ায় আজ সকালে নিজের বাসায় ঘুম থেকে উঠার পর বাথরুমে যান। বাথরুমে হঠাৎ করেই অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান। পরে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হলে আর জ্ঞান ফিরে নি। ডাক্তাররা অনেক চেষ্টা করেও আর জ্ঞান ফেরাতে পারেননি। একটি তাজা প্রাণ চলে যায় না ফেরার দেশে। তিনি আগে থেকে অসুস্থ ছিলেন কিনা এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানা যায়নি।
জহিরুলের এমন আকষ্মিক মৃত্যুতে তার পরিবার, আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাদের বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে যে এমন তরতাজা একটি প্রাণ অকালেই ঝরে গেল।
তার কাছের অনেক বন্ধু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার মৃত্যুর খবরটি শেয়ার করে শোক প্রকাশ করেছেন। সবাই তার জন্য দোয়া করছেন এবং সকলকে তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করতে অনুরোধ করেছেন।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.