Beanibazarview24.com





ওষুধের ন্যায্যমূল্য মাত্র ৬০ টাকা। আর ক্রেতার কাছ থেকে নেয়া হলো ১ হাজার ৯শ’ টাকা। এই অভিযোগে যশোর গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা একটি ওষুধের দোকানের দুই কর্মচারিকে আটক করে কোতয়ালি থানা পুলিশে সোপর্দ করেছে।
এরা হলেন, শহরের নাজির শংকরপুর এলাকার শামসুর রহমানের ছেলে নয়ন হোসেন এবং ঘোপ এলাকার আসিফ হোসেনের ছেলে রিপন হোসেন।
কোতয়ালি থানা এসআই আমিরুজ্জামান জানিয়েছেন, ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বড়া গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে সোহান বুধবার সকালে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের সামনে মনির ফার্মেসিতে যান অ্যাপোনসেট নামক একটি বমির ওষুধ কিনতে। তার মা জবেদা বেগম হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। ওই ওষুধের মূল্য সোহানের কাছে এক হাজার ৯শ’ টাকা হাকানো হয়। মায়ের অসুস্থতার কথা মাথায় রেখে তিনি ওই বমির ওষুধ নিয়ে যান। পরে জানতে পারেন ওই ওষুধের মূল্য মাত্র ৬০ টাকা।
এই বিষয়টি হাসপাতালে থাকা পুলিশের বিশেষ শাখার সদস্যরা জানতে পারেন। তারা ওই দোকানে যান এবং আশেপাশে কথা বলে জানতে পারেন ওষুধের মূল্য মাত্র ৬০ টাকা। কিন্তু সোহানের কাছ থেকে ১ হাজার ৯শ’ টাকা নেয়া হয়েছে। পরে বিশেষ শাখার সদস্যরা ওই দোকানের দুই কর্মচারি নয়ন ও রিপনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। কিন্তু ফার্মেসির মালিক নূরুল ইসলাম দোকানে ছিলেন না। তাকে আটক করতে পারেননি।
এসআই আমিরুজ্জামান জানিয়েছেন, আটক দুইজনকে থানায় নেয়া হলেও নুরুল ইসলামকে আটক করা যায়নি। এ বিষয়ে রাতে ওসি সাহেব সিদ্ধান্ত নেবেন।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.