Beanibazarview24.com
করোনা নিয়ন্ত্রেণে মুন্সিয়ানা দেখানো অস্ট্রেলিয়া এবার অর্থনীতিকে ঢেলে সাজাতে উদ্যোগী হয়েছে। তাই গুরুত্বপূর্ণ খাত হসপিটালিটি ও ট্যুরিজমকে গতি দিতে কর্মক্ষম ব্যক্তিদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে দেশটির সরকার।
ফলে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী যারা এ খাতে কর্মরত তারা আর আগের বেঁধে দেওয়া সাপ্তাহিক ২০ ঘণ্টা কাজের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকছেন না। অর্থাৎ নতুন এ নীতির ফলে নির্দিষ্ট খাতে কাজ করা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর দেশটির নাগরিকদের মতোই বছরজুড়ে পূর্ণকালীন কাজের সুযোগ পাবেন।
অস্ট্রেলিয়ায় এ মুহূর্তে স্টুডেন্ট ভিসায় রয়েছেন প্রায় সাড়ে তিন লাখ বিদেশি শিক্ষার্থী। যাদের বড় একটা অংশ গেল বছর করোনভাইরাস মহামারির কারণে কর্মসংকটে পড়েছিল। মূলত আতিথেয়তা ও পর্যটন বিভাগ তুলনামূলক একটু বেশি কর্মবান্ধব হওয়ায় শিক্ষার্থীরা এ খাতে ঝুঁকেন বেশি, তাদের অংশগ্রহণকে কাজে লাগিয়ে সরকার নিজেদের লাভের অংক ও শিক্ষার্থীবান্ধব হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে থাকবেন বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্লেষকরা। এ যেন এক ঢিলে দুই পাখি মারার মতো।
দেশটির ইমিগ্রেশন মন্ত্রী অ্যালেক্স হক বলেন, এই পদক্ষেপের ফলে সংশ্লিষ্ট সেক্টরগুলোতে কর্মীদের কর্মসংস্থান পূরণ করতে এবং অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে সহায়ক হবে।
জানা যায়, অস্ট্রেলিয়ায় অস্থায়ী ভিসাধারীরা যারা পর্যটন ও আতিথেয়তায় কাজ করার ইচ্ছা পোষণ করে তাদের বিদ্যমান ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ দিন আগে (কোভিড-১৯ টেম্পরারি এক্টিভিটি) ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবে। এই ভিসা বিনামূল্যে আবেদন করা যায় এবং মোট ১২ মাস অস্ট্রেলিয়ায় থাকতে সক্ষম হবে আবেদনকারী।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.