Beanibazar View24
Beanibazar View24 is an Online News Portal. It brings you the latest news around the world 24 hours a day and It focuses most Beanibazar.

আগুন দেওয়ার দুদিন আগে কারাগারে সিরাজের সঙ্গে দেখা করে তারা







গায়ে আগুন দেওয়ার দুদিন আগে অধ্যক্ষ সিরাজের সঙ্গে কারাগারে গিয়ে দেখা করে নুসরাত জাহান রাফির অভিযুক্ত খুনিরা। শনিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগশেনের (পিবিআই) সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার।

তিনি জানান, গত ৬ এপ্রিল সকালে ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার আলিম পরিক্ষার্থী নুসরাতের গায়ে আগুন দেয় বোরকাপরা চার দুর্বৃত্ত। পরে সেখান থেকে তারা নির্বিঘ্নে পালিয়ে যায়।



সংবাদ সম্মেলনে ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার বলেন, ‘নুসরাত জাহান রাফিকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিল ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা। ৪ এপ্রিল ওই মাদ্রাসার ছাত্র শাহাদাত হোসেন শামীম, নূর উদ্দিন, হাফেজ আবদুল কাদেরসহ কয়েকজন কারাগারে গিয়ে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার সঙ্গে দেখা করে।’

ডিআইজি বলেন, ‘নুসরাত জাহান রাফির গায়ে আগুন দেওয়ার আগে অনেক কাহিনী আছে। সবকিছু তদন্তের স্বার্থে এই মুহূর্তে বলা ঠিক হবে না। তবে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার মুক্তির পক্ষে যারা ছিলেন, তাদের মধ্যে নূরউদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীমসহ কয়েকজন জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেয় ৪ এপ্রিল। স্মারকলিপি দিয়ে ওই দিনই কারাগারে সিরাজ উদ দৌলার সঙ্গে দেখা করে। সেখানে গিয়ে রাফিকে হত্যার নির্দেশ নিয়ে আসে।’



পিবিআই’র ডিআইজি আরও বলেন, ‘সোনাগাজী মাদ্রাসার পাশে দু’টি হোস্টেল আছে। সেখানকার পশ্চিম হোস্টেলে ছিল নূরউদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, জাবেদ হোসেন, হাফেজ আবদুল কাদেরসহ পাঁচজন। পরদিন ৫ এপ্রিল তারা সেখানে বসে পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনাতে তারা সিদ্ধান্ত নেয়, রাফিকে পুড়িয়ে মারা হবে। এই সিদ্ধান্ত তারা নেয় দু’টি কারণে। প্রথমত, মাদ্রাসার অধ্যক্ষসহ আলেম সমাজকে হেয় করেছে নুসরাত।



দ্বিতীয়ত, শাহাদাত দফায় দফায় প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছে রাফিকে। কিন্তু রাফি শামীমের সেই প্রস্তাব বারবার প্রত্যাখ্যান করে। এ কারণে রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে মারার প্রথম প্রস্তাবটি দেয় শামীম। পরিকল্পনার বিষয়টি পরে আরও পাঁচজনের সঙ্গে শেয়ার করে তারা। তাদের মধ্যে দু’জন মেয়ে। তারা ওই মাদ্রাসারই ছাত্রী। সেই দুই মেয়ের একজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয় তিনটা বোরকা ও কেরোসিন আনার জন্য। পরিকল্পনা অনুযায়ী, মেয়েটি বোরকা ও কেরোসিন সরবরাহ করে শামীমের কাছে। এরপরই তারা ৬ এপ্রিল পরিকল্পনার অংশ হিসেবে রাফির শরীরে আগুন দেয়।














You might also like

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.