Beanibazar View24
Beanibazar View24 is an Online News Portal. It brings you the latest news around the world 24 hours a day and It focuses most Beanibazar.

আবরারের মৃ’ত্যুর খবর জেনেও চুপ ছিলেন প্রভোস্ট ও ছাত্র কল্যাণ পরিচালক (ভিডিও)







বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরে বাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে রোববার নি’র্মমভাবে পি’টিয়ে হ’ত্যা করা হয় আবরার ফাহাদকে। একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ নেতারা এই হ’ত্যাকাণ্ড ঘটায়।

এ ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছে সারা দেশের শিক্ষাঙ্গন। হ’ত্যাকারীদের দৃ’ষ্টান্তমূলক বিচার, ছাত্ররাজনীতি নি’ষিদ্ধকরণসহ সাত দফা দাবিতে দিনব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ করেছেন বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।



হ’ত্যাকাণ্ডের পর সোমবার (৭ অক্টোবর) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের একটি সিসিটিভি ফুটেজ দেওয়া হয়েছিল প্রসাশনের পক্ষ থেকে। তবে সেই ভিডিওটি ছিল অপূর্ণাঙ্গ।

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) হ’ত্যাকাণ্ডের পূর্ণাঙ্গ ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে।

ভিডিওতে দেখা যায়, রোববার দিবাগত রাত ৩টা ১৫ মিনিটে আবরারের ম’রদেহ হলের গেইটে নিয়ে আসা হয়। তারপর চিকিৎসক (সাদা পাঞ্জাবি পরা) আবারারের মৃ’ত্যু নিশ্চিত করেন। এসময় সেখানে বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল উপস্থিত ছিল।



৩টা ২২ মিনিটে স্ট্রেচারে রাখা আবরারের নি’থর দে’হ গেইটের আরও কাছে আনা হয়। তার কিছু সময় পর ৩টা ২৫ মিনিটে হল প্রভোস্ট জাফর ইকবাল খান ও ছাত্র কল্যাণ পরিচালক মিজানুর রহমান সেখানে আসেন। তারা মেহেদী হাসান রাসেল ও শাখা ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকারের সঙ্গে কথা বলেন।



আবরারের মৃ’ত্যু নিশ্চিত জেনেও খু’নিদের বি’রুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে চুপ থাকেন হল প্রভোস্ট ও ছাত্র কল্যাণ পরিচালক।

জানা গেছে, তিন দফায়, বে’ধড়ক পি’টিয়ে হ’ত্যা করা হয় আবরারকে। এই হ’ত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নিয়েছিলো ছয় ঘা’তক।

শেরেবাংলা হলের ২০১১ নম্বর রুমে রাত নয়টার দিকে শুরু হয় মা’রপিট। নেতৃত্বে দেয়া ইফতি মাহবুব সকাল। তিন দফা পে’টানো হয় আবরারকে।



কয়েকটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, মা’রধর শুরু করেন বুয়েট ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন। পরে যোগ দেন আরও পাঁচজন। এরা হলেন- অনিক, সকাল, জিওন, মনির ও মোজাহিদুল।

প্রথম দফা মা’রপিট চলে রাত ১১টা পর্যন্ত। এরপর রাতের খাবার খাওয়ানো হয় আবরারকে। খাওয়ানো হয়, ব্যা’থানাশক ট্যাবলেট, দেওয়া হয় মলম।

দ্বিতীয় দফায় মা’রপিট শুরু করেন অনিক, ছিলেন সবচেয়ে মা’রমুখী। আবরারের শরীরের উপর ভাঙেন ক্রিকেট স্ট্যাম্প। ম’দ্যপ অনিক আরেকটি স্টাম্প দিয়ে বে’ধড়ক মা’রধর চালিয়ে যান।



নিম্তেজ হয়ে পড়েন আবরার। তখন মধ্যরাত। বার বার বমি করেন। ঘাবড়ে যান ঘাতকরা। আ’হত শরীরটাকে এবার টেনে বড় ভাই মুন্নার কক্ষে নেন তারা।

সূত্র বলছে, তৃতীয় দফার মা’রপিট শুরু হয় মুন্নার কক্ষেই। ছয় জনের পি’টুনিতে লুটিয়ে পড়ে আবরার। এরপর নীথর দে’হটি টেনে হিচেড় নিচে নামানোর চেষ্টা করেন ঘা’তকরা। মাঝ সিড়িতে যেতেই তারা বুঝতে পারেন আবরার মা’রা গেছে। সেখানেই আবরারের ম’রদেহটি রেখে পালিয়ে যায় ঘা’তকরা। নীথর দে’হটি পড়ে থাকে সিঁড়িতে।
ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন…














You might also like

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.