Beanibazarview24.com
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে (২১) হ’ত্যার অ’ভিযোগ উঠেছে। আর এ ঘটনায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জ’ড়িত বলে সূত্রের দাবি। (খবরঃ নায়া দিগন্ত)
আবরার ফাহাদ রোববার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার পর থেকে নি’খোঁজ ছিলেন। আর এরপর মধ্যরাতে নিজের আবাসিক হল শেরে বাংলা হলে পাওয়া যায় তার লা’শ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি সূত্রের দাবি, আবরারকে রোববার ৮টার দিকে শের–ই–বাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে পাঠান তৃতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ৭-৮ জন নেতা। তারা আবরার ফাহাদের মুঠোফোন চেক করে শিবির-সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ খোঁজেন। একপর্যায়ে ক্রিকেট খেলার স্টাম্প দিয়ে তাকে পে’টাতে শুরু করেন তারা।
পরে চতুর্থ বর্ষে অধ্যয়নরত বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী ওই কক্ষে গিয়ে আবরারকে আরেক দফায় পে’টান। এতে তার মৃত্যু হলে রাতে সহপাঠীদের ডেকে লা’শ সিঁড়ির নিচে রাখতে বলা হয়।
সূত্রটির দাবি, এ ঘটনার মূলে ছিলেন বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল ও সহ-সভাপতি মুস্তাকিম ফুয়াদ। এছাড়াও ছিলেন, সরাসরি মারধর করেছেন- বুয়েট ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক আশিকুল ইসলাম বিটু, বুয়েট ছাত্রলীগের উপ-দফতর সম্পাদক কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মুজতবা রাফিদ, উপ-সমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল, উপ-আইন সম্পাদক অমিত সাহা, বুয়েট ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন এবং তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার।
এদিকে, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল ও সহ-সভাপতি মুস্তাকিম ফুয়াদকে আ’টক করেছে পুলিশ। চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাব হোসেন বলেছেন, এ দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আ’টক করা হয়েছে। অন্য কারো নাম পাওয়া গেলে জানানো হবে।
সূত্রঃ নায়া দিগন্ত
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.