Beanibazar View24
Beanibazar View24 is an Online News Portal. It brings you the latest news around the world 24 hours a day and It focuses most Beanibazar.

‘আমি ওরে জী’বিত দেইখাও বাঁ’চাইতে পারি নাই’







‘যখন ও পড়ে ছিলো তখন এক ছাত্রলীগ নেতা বলেন, ও নাটক করতেছে, ওরে ফেলে রাখ। আমি দিনরাত ঘুমাইতে পারি নাই। আমি ওরে জী’বিত দেখছি বাঁ’চাইতে পারি নাই। আমারে মাফ করে দিস তুই।’ বলছিলেন বুয়েট শিক্ষার্থী ও সেদিনের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মহিউদ্দীন।

ওই দিনের ম’র্মান্তিক ঘটনার বর্ণনা দেন আরেক ছাত্র আরাফাত। বুধবার (০৯ অক্টোবর) বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মীর নি’র্যাতনে নি’হত আবরারের শেষ সময়ের প্রত্যক্ষদর্শী এই দুজন সেসব ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন।



মৃ’ত্যুর কিছু মুহূর্ত আগে ভোররাতে সিঁ’ড়িতে আবরারকে কা’তরাতে দেখেও ছাত্রলীগ নেতাদের হু’ঙ্কারে মহিউদ্দীন আবরারকে বাঁ’চাতে যেতে পারেননি। পরে যখন তিনি আবরারের কাছে পৌঁছাতে পেরেছিলেন তখন আবরারের সারা শরীর ঠা’ণ্ডা ছিল, তখন সে আর বেঁচে ছিলো না।

বুধবার বেলা দেড়টার দিকে বিক্ষো’ভে অংশ নিয়ে আরাফাত বলেন, তিন-চার মিনিট আগে তিনি যদি সেখানে উপস্থিত হতে পারতেন, তাহলেও হয়তো আবরারকে বাঁচানো যেত।



পড়া শেষে রাতে নিচে খাবার আনতে বেরিয়েছিলেন আরাফাত। তখন তোশকের মধ্যে একজন পড়ে থাকতে দেখেন। তিনি বলেন, তখন চিন্তায়ও আসেনি এরকম হতে পারে। খোদার কসম, এক সেকেন্ডের জন্যও মাথায় আসেনি এভাবে কাউকে মা’রা হতে পারে।

তিনি বলছিলেন, যখন আবরারের হাত ধরেন, তখন হাত পুরো ঠাণ্ডা, পা ঠাণ্ডা। শার্ট-প্যান্ট ভেজা। তোশক ভেজা। মুখ থেকে ফে’না বের হয়েছে।



তিনি বলছিলেন, ‘তখন ওকে বাঁ’চানোর জন্য বুকে চাপ দিই। হাতে চাপ দিই। আশপাশের সবাইকে বলি, কেউ একজন ডাক্তারকে ম্যানেজ কর। এরপর ডাক্তার আসল। ডাক্তার দেখে বলেন, ১৫ মিনিট আগেই সে (আবরার) মা’রা গেছে।’

ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে ওই দুই ছাত্রসহ অনেকেই কান্নায় ভে’ঙে পড়েন। এসময় এক হৃ’দয়বি’দারক দৃশ্যের অব’তারণা হয় রাজপথে।














You might also like

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.