Beanibazarview24.com
কুষ্টিয়ার কুমারখালীর উপজেলার কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গা গ্রামে তৃতীয় জানাজা নামাজ শেষে আজ (৮ অক্টোবর) সকাল ১১টায় ছাত্রলীগের হাতে নি’র্মমভাবে নি’হত বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদের দাফন সম্পন্ন করা হয়।
এর আগে সকাল ৬টায় কুষ্টিয়া শহরের পিটিটিআই রোডস্থ নিজ বাড়িতে আবরারের মরদেহ পৌঁছলে সেখানে আল-হেরা জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৬টায় দ্বিতীয় জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
এরপর লা’শ নিয়ে যাওয়া হয় আবরার ফাহাদের গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালীর উপজেলার কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গা গ্রামে। সেখানে তার তৃতীয় জানাজা নামাজ শেষে তার দাফন সম্পন্ন করা হয়।
ফাহাদের ম’রদেহ শেষবারের মতো দেখতে সেখানে ছুটে আসেন হাজারো মানুষ। সৃষ্টি হয় হৃদয় বিদারক দৃশ্যের। চারিদিকে কান্নার আওয়াজ। আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব প্রতিবেশীদের আহারাজিতে ভারি হয়ে উঠে আশপাশ।
আবরার ফাহাদের ছোটভাই আবরার ফাইয়াজ বলেন, “মা’নসিকভাবে পুরোপুরি বিধ্বস্ত আছি। এর কোনো সান্ত্বনা হয় না। বাবা ও মা মৃ’তপ্রায়। মা বারবার মূ’র্ছা যাচ্ছেন।”
এদিকে একেবারে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন ফাহাদের ৮৬ বছর বয়সী দাদা আব্দুল গফুর। শা’রীরিক কারণে তাকে খুব সাবধানে ফাহাদের মৃ’ত্যুর খবর দেওয়া হয়।
রায়ডাঙ্গা গ্রামের আলতাফ হোসেন বলেন, “আবরার ফাহাদ একজন চমৎকার স্বভাবের ছেলে ছিলো। পড়াশুনার চাপের কারণে গ্রামের বাড়িতে খুব আসার সুযোগ হতো না তার। তারপরও যখন আসতো পাড়ার সবার সঙ্গে কথা বলতো, মিশতো।”
“গ্রামে এলেই ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের বিকালের দিকে বাড়ির সামনে বসিয়ে লেখাপড়া শিখাতো ফাহাদ। এমন ছেলেকে যারা হ’ত্যা করলো তাদের কঠোরভাবে বিচার করা হোক,” যোগ করেন আলতাফ।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.