Beanibazar View24
Beanibazar View24 is an Online News Portal. It brings you the latest news around the world 24 hours a day and It focuses most Beanibazar.

এতোদিনে নোবেলের আসল চেহারা ফাঁস করলো কলকাতা মিডিয়া!







এই সময়ে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের শোবিজ অঙ্গনের সবচেয়ে আলোচিত নাম মাইনুল আহসান নোবেল। সম্প্রতি জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে তাঁর একটি পুরনো সাক্ষাৎকারের অংশ সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। ভাইরাল হয়। চতুর্দিক থেকে আসছে নিন্দা। এর মধ্যে আরও একটি তথ্য জানাল কলকাতার একটি সংবাদ মাধ্যম।

জানা গেছে ‘সারেগামাপা’ প্রতিযোগিতা চলার সময় অন্য প্রতিযোগীদের নাকি পাত্তা দিতেন না নোবেল। এমনকি এক বিচারককে নাকি অপমান করেছিলেন তিনি। বাংলাদেশি শিল্পীকে সমালোচনা করে নানা কথাই ভারতের গণমাধ্যমগুলো লিখছে; ব্যবহার করছে ‘অভব্যতা’র মতো শব্দ।



কলকাতার গণমাধ্যম বলছে, সেখানকার কোনও শিল্পীকেই নাকি তাঁর যোগ্য মনে হতো না। এমনকি এক বিচারককে নোবেল নাকি বলেছিলেন, তাঁর গান বিচার করার ক্ষমতা সেই বিচারকের নেই। এমন ব্যবহারের কারণেই নাকি মঞ্চে বেশ কিছুদিন দেখা যায়নি নোবেলকে, তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল।



আদতে এখবর কতটুকু সত্য? বিষয়টি তলিয়ে দেখতে গিয়ে পাওয়া গেল আরো তথ্য!

সোশ্যাল নেটওয়ার্কসহ কয়েকটি সূত্রের মাধ্যমে জানা গেছে, মোনালি ঠাকুরের সঙ্গে নোবেলের ঝামেলার সূত্রপাত ঘটে একটি গানের নম্বর দেয়া নিয়ে। তবে নোবেল তাঁকে অপমান করেননি। জানা যায়, অন্য দুইজন বিচারক নোবেলকে ৯ করে নম্বর দিলেও মোনালি নম্বর দিয়ে দেন ১০ এর মধ্যে মাত্র ‘৪।’ এতে নোবেল অবাক হন। মোনালি কারণ হিসেবে জানান, ‘এই গানের কথাই বোঝা যায়নি।’ সে পর্বের নোবেলের গাওয়া গানটি ছিল তাহসানের ‘বিন্দু আমি।’ নোবেল মোনালিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘গানটি আসলে এমনই- আপনি শুনে দেখুন’- আর এতেই তেলে-বেগুনে জ্বলে ওঠেন মোনালি। এমনকি তিনি বিচারকের আসন ছেড়ে উঠে চলে যান।



নোবেলের গাওয়া গানের কথাগুলো ছিল এমন- এ যেন সহজ স্বীকারোক্তি আমি যুগান্তরী নই/এ যেন ভীষণ আক্ষেপ আমার আমি দিগ্বিজয়ী নই/শুধু একটাই আশা আমি বুকে জড়িয়ে রব সারাটি জীবন তোমায় নিয়ে/ কিছু অর্থহীন শব্দ গুনে ডেকেছি তোমায়/ প্রেম তুমি কোথায়/বিন্দু আমি তুমি আমায় ঘিরে/বৃত্তের ভেতর শুধু তুমি আছো/মাতাল আমি তোমার প্রেমে/ তাই অর্থহীন সবই যে প্রেম লাগে…



বাংলাদেশের তুমুল জনপ্রিয় ছিল এই গান। শোনা যায়, নোবেলকে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছিল মোনালি ঠাকুরের নিকট। কিন্তু নোবেল বুঝে উঠতে পারছিলেন না ঠিক কী কারণে তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে।

‘সারেগামাপা’ শুরু হওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশি গায়ক নোবেলের গানে মজে যায় অনেক দর্শক ও শ্রোতা। দ্রুত বাড়তে থাকে অনুরাগীর সংখ্যা। বিচারকরাও প্রশংসা করতে থাকেন তাঁর গানের। ভারতীয় কোন কোন মিডিয়ার ভাষ্য, এত প্রশংসা শুনতে শুনতে নাকি মাথা ঘুরে যায় গায়কের। শোনা যায়, প্রতিযোগিতার অন্য প্রতিযোগীদের সঙ্গে নাকি ভাল ব্যবহার করতেন না নোবেল।



বরং তাঁর মধ্যে সবসময়ই একটা নাক উঁচু ভাব কাজ করত। তার ওপর আবার পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় তাঁর ‘ভিঞ্চিদা’ ছবিতে গান গাওয়ান নোবলকে দিয়ে।

ওপারের মিডিয়ার আরো অভিযো, ভারতের এমন এক প্রথম সারির পরিচালক প্রতিযোগিতার অন্য প্রতিযোগীদের না বেছে তাঁকে বেছে নেওয়ায় নোবেল যেন আরও অহংকারী হয়ে ওঠেন। কলকাতার একটি গণমাধ্যম বলছে- বাস্তবে এর কতটা সত্য আর কতটা মিথ্যা তা সময় বলে দেবে। তবে ঢাকায় নোবেলকে কনসার্টে এমনটা মনে হয়নি। বরঞ্চ তিনি ভক্ত-দর্শকদের অনেক কাছাকাছি চলে আসেন।














You might also like

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.