Beanibazarview24.com
পাঁচ-ছয়দিন পরই ঈদুল ফিতর। যে যেভাবে পারছে ঘরে ফিরছে। এ অবস্থায় শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ঘরমুখী মানুষ ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে কয়েকগুণ।
সোমবার (১৮ এপ্রিল) সকাল থেকে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি ফেরিঘাটে ঘরমুখো মানুষের উপচেপড়া ভিড় লেগে যায়। সকাল থেকেই ফেরিঘাটের উভয় পাড়ে ভিড় করেছেন যাত্রীরা। ঘরমুখী মানুষ ও গাড়ির বাড়তি চাপ সামাল দিতে চারটি ফেরির বদলে ১২টি ফেরি চালু করেছে ঘাট কর্তৃপক্ষ। এরপরও সামাল দেয়া যায়নি যাত্রীদের চাপ। বিকেল পর্যন্ত দলে দলে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি দিয়ে ঘরে ফিরেছে মানুষ।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতি উপেক্ষা করে কয়েকদিন আগে যেমন কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীদের চাপ ছিল ঘাটে, তেমন আজও সকল বাধা উপেক্ষা করে বাড়ি ফিরছে মানুষ। লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীরা ফেরিতে পারাপার হচ্ছেন।
সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করা তো দূরের কথা একজন আরেকজনের গায়ে উঠে মনে হয়েছে গন্তব্যে গেছেন। এ নিয়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে গেল দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গণপরিবহন বন্ধ থাকায় দক্ষিণাঞ্চলের হাজার হাজার যাত্রী ভ্যান, মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকে চড়ে ঘাটে এসে ভিড় করেছেন। পরে ফেরিতে করে পদ্মানদী পাড়ি দিয়েছেন তারা।
শিমুলিয়া ঘাটে ফেরি পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে ছোট-বড় অনেক গাড়ি। হাজার হাজার মানুষ ফেরিতে গাদাগাদি করে পার হওয়ায় করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা করা হচ্ছে। বাস বন্ধ থাকায় ঢাকা থেকে যাত্রীরা মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, লেগুনা, মোটরসাইকেলযোগে ঘাটে এসেছেন যাত্রীরা।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.