Beanibazarview24.com
মধ্যপ্রাচ্যের কাতারের আলখোর হামাদ হাসপাতালের মর্গে গত ছয় দিন ধরে পড়ে আছে আজিজুর রহমান (৪৮) নামে এক বাংলাদেশি রেমিটেন্স যোদ্ধার লাশ। তিনি মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার বর্নি ইউনিয়নের সৎপুর গ্রামের আব্দুল মানিক মইনের ছেলে।
আইনি জটিলতায় নিহত প্রবাসীর মরদেহ দেশে আনায় অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। তার পরিবারের পক্ষ থেকে এব্যাপারে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।
জানা গেছে, ১ ছেলে ও ৪ মেয়ের জনক আজিজুর রহমান ২০১৪ সালে জমিজমা বিক্রি করে জীবিকার টানে কাতারে পাড়ি জমান। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে মেডিকেল সংক্রান্ত জটিলতায় তিনি সেখানে কাজের অনুমতি পাননি। সব হারিয়ে প্রবাসে গিয়ে খালি হাতে দেশে ফেরার কথা চিন্তাও করতে পারেননি। নিরুপায় হয়ে অবশেষে অবৈধভাবে কাতারে থেকে যান।
গত ৩ এপ্রিল হঠাৎ আজিজুর রহমান এপেন্ডিসাইটিসের ব্যথায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। বৈধ ভিসা না থাকায় রুমে থাকা কোন প্রবাসী তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাননি। খবর পেয়ে তার ভাই সাহেদ আহমদ বাসায় পৌছে তাকে নিয়ে আলখোর হামাদ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর থেকে নিহতের মরদেহ ওই হাসপাতালের মর্গে পড়ে আছে।
মঙ্গলবার দুপুরে সৎপুর গ্রামে নিহত আজিজুর রহমানের বাড়িতে গিয়ে শোকের মাতম চলতে দেখা গেছে। স্ত্রী ও সন্তানরা বিলাপ করছেন। প্রতিবেশিসহ স্বজনরা যেন সান্তনা দেয়ারও ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন। আনোয়ারা বেগম স্বামীর মৃতদেহ দেশে আনতে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
নিহত আজিজুর রহমানের রুমমেট এক কাতার প্রবাসী জানান, তিনি অবৈধভাবে কাতারে থাকায় তার লাশ দেশে পাঠাতে মেয়াদোত্তীর্ণ পাসপোর্ট, ৬ হাজার রিয়াল জরিমানা, দেশে পাঠানোর বিমান টিকেটসহ আইনি জটিলতা দেখা দিয়েছে। একমাত্র বাংলাদেশ দুতাবাস কুটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে তার লাশ দেশে পাঠাতে পারে।
জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন কাতারের সভাপতি নজরুল ইসলাম ও সহ-সভাপতি আব্দুস জানান, নিহত আজিজুর রহমানের লাশ দেশে পাঠানোর ব্যাপারে তারা সর্বাত্মক চেষ্ঠা চালাচ্ছেন।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.