Beanibazar View24
Beanibazar View24 is an Online News Portal. It brings you the latest news around the world 24 hours a day and It focuses most Beanibazar.

কেন হিজাব দিবস পালনের ডাক দিয়েছিলেন অভিবাসী বাংলাদেশি নাজমা?







আওয়ার ইসলাম: নাজমা খান। মাত্র ১১ বছর বয়সে বাংলাদেশ থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান তিনি। প্রতিবছর ১ ফেব্রুয়ারি যে ‘ওয়ার্ল্ড হিজাব ডে’ পালিত হয়, এর ডাক দিয়েছিলেন মূলত এই নাজমা খানই।

কেন হিজাব দিবস পালনের ডাক দিয়েছিলেন নাজমা, ইনকোয়ার ডটনেটের সঙ্গে আলাপে তিনি সে প্রশ্নেরই উত্তর দিয়েছেন সম্প্রতি।

নিউ ইয়র্কের বাসিন্দা নাজমা জানান, পশ্চিমা সংস্কৃতিতে বেড়ে উঠলেও তার মন-মগজে কেবলই ইসলামি জীবনধারার চেতনা। প্রাইমারি স্কুল থেকেই একজন মুসলিম নারী হিসেবে পর্দার বিধানকে লালন করতেন তিনি। তবে সেটা পালন করতে গিয়ে নানাভাবে অপমানিত, অপদস্থ, লাঞ্চিত হতে হয়েছে তাকে।



তিনি বলেন, ‘১১ বছর বয়সে আমার স্কুলে আমিই ছিলাম একমাত্র হিজাবি মেয়ে। ওই সময় কেবল হিজাব পড়ার কারণেই আমাকে নানাভাবে অপমান-হয়রানির মধ্য দিয়ে যেতে হয়। মাধ্যমিক স্কুলে পড়ার সময় আমাকে বলা হতো ব্যাটম্যান অথবা নিনজা।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘৯/১১ এর পরে তারা আমাকে ওসামা বিন লাদেন বলতো। কখনও কখনও সরাসরি টেরোরিস্ট বলতো, যা সত্যিই আমার জন্য দুঃসহ ছিল।’

নাজমার ভাষ্য, তবু থেমে থাকেননি তিনি; ভেঙে পড়েননি বা স্তব্ধও হননি। ওই সময় থেকেই অনলাইন ও সোশ্যাল মিডিয়াকে অবলম্বন করে হিজাব দিবস পালনের ইচ্ছা, কারণ ও উদ্দেশ ছড়িয়ে দিতে থাকেন। তিনি বিশ্বের সকল মুসলিম ও অমুসলিম নারীদের অন্তত একদিনের জন্য হলেও হিজাব পড়তে আহ্বান জানান।



নাজমা জানান, এরপর ২০১৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, পাকিস্তান, ফ্রান্স, জার্মানিসহ বিশ্বের প্রায় ৫০টির মতো দেশে নারীরা তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে হিজাব দিবস পালন করেন। পরবর্তী সময়ে তা আরও ব্যাপকভাবে নারীদের আকৃষ্ট করে। ২০১৭ সালে বিশ্বের প্রায় ১৪০টি দেশে এই দিবসটি পালিত হয়।

নাজমা খান মনে করেন, হিজাব পরার জন্য যে মুসলিম হতেই হবে, এমন কোনো কথা নেই। হিজাব মূলতঃ শালীনতার জন্য পরা হয়। তাই তিনি এটা পরায় কোনো সমস্যা দেখেন না।



ইনকোয়ার ডটনেট বলছে, এখন কেবল মুসলিম নারীরাই হিজাব দিবসে হিজাব পরেন না; হাজারো অমুসলিম নারীও হিজাব পরে দিবসটি পালন করেন।

নাজমা বলেন, ‘হিজাব পরার কারণে পশ্চিমা বিশ্বে মুসলিম নারীরা কতটা নিগৃহীত হয়, সেটি বুঝতে পারবেন যারা এই কর্মসূচিতে সাড়া দিয়ে একমাস হিজাব পড়বেন।’

নাজমা খান জানিয়েছেন, মুসলিম নারীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে অন্য ধর্মাবলম্বীদের হিজাব পরার কর্মসূচির ব্যাপক প্রভাব ইতোমধ্যেই পড়তে শুরু করেছে।



নাজমা খানের আশা, তার এই কর্মসূচির মাধ্যমে বিশ্বে হিজাবের বিষয়ে সচেতনা তৈরি হবে। মুসলিম নারীদের পোশাকের স্বাধীনতার একটি অংশ যে হিজাব সে বিষয়টি সবাই বুঝতে পারবে। আর এর মাধ্যমে মুসলিম নারীরা কোনো প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই হিজাব পরতে পারবেন।














You might also like

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.