Beanibazar View24
Beanibazar View24 is an Online News Portal. It brings you the latest news around the world 24 hours a day and It focuses most Beanibazar.

গোরস্থানেও প্রেম-অশ্লীলতা!







দিন দিন কোথায় যাচ্ছে আমাদের সংস্কৃতি? কোথায় নামছে মানুষের মানসিকতা? প্রেম করার জন্যে কিছুই মানছে না আমাদের তরুণ সমাজ। শেষ পর্যন্ত গোরস্থানেও চলছে প্রেম-অশ্লীলতা!

মুসলমান জাতির শেষ ঠিকানা গোরস্থান। তবে কিছু কিছু মানুষের জন্য এই গোরস্থান হয়ে উঠেছে বিনোদনের জায়গা। অনেকের জন্য প্রেম করার জায়গা, কারও ছবি তোলার। তবে এমন কার্যকলাপের জন্য আপত্তি পোষণ করেছে রাজধানীর রায়ের বাজারের গোরস্থান কর্তৃপক্ষ। কিন্তু জনবল সংকটের ফলে তেমন কিছুই করতে পারছেনা গোরস্থানের নিরাপত্তাকর্মীরা।



রায়ের বাজার গোরস্থান বর্তমান সময়ে দেশের সবচেয়ে বৃহদাকার গোরস্থান। প্রায় ৮১.৩০৩০ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত গোরস্থানটিতে কবর দেয়া জায় ৯০ হাজার ৫৩৯ টি। এখন পর্যন্ত কবর দেয়া হয়েছে প্রায় সাড়ে চার হাজার। অর্থাৎ গোরস্থানটির অধিকাংশ জায়গাই এখনো রয়েছে খালি। এই খালি জায়গাগুলো হয়ে উঠেছে এ শহরের মানুষের বিনোদন কেন্দ্র। গোরস্থানের বিভিন্ন অংশে সকাল থেকে দেখা মিলে বহিরাগতদের। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী, স্থানীয় বাসিন্দাসহ সকলের প্রবেশাধিকার এখানে প্রায় উন্মুক্ত।



গোরস্থানে প্রবেশের জন্য বেশ কয়েকটি দরজা থাকলেও এখন খোলা রয়েছে মাত্র একটি। নজরদারিতে রয়েছে নিরাপত্তাকর্মী। কিন্তু তারপরেও থেমে নেই সাধারণ মানুষ। গোরস্তানের উত্তর-পশ্চিম কোণের দেয়াল ভাঙা থাকায় সেখান দিয়ে অনায়াসে প্রবেশ করছেন বহিরাগতরা। একই অবস্থা শহিদ বুদ্ধিজীবি স্মৃতিসৌধের। স্মৃতিসৌধের প্রাচীরের পাঁচটি স্থান ভাঙা। আর এই ভাঙা স্থানগুলো দিয়ে গোরস্থানে প্রবেশ করছে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী এবং বহিরাগতরা। সেই সাথে চলছে গোরস্থানের ভেতরে অনৈতিক কর্মকাণ্ড।



গোরস্থানের সহকারী সিকিউরিটি কমান্ডার জাহাঙ্গীর আলম বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, ‘এখন মোট ৫টা জায়গা দিয়া ভাঙা আছে। আরো কয়েকটা আমরা তারটার দিয়া বন্ধ করছি। যেগুলা এখনো খোলা সেগুলা দিয়া লোকজন ঢোকে। পশ্চিম পাশের একটা বড় দেওয়াল ভাঙা। এগুলা ঠিক করে দিলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। গেটে আমাদের লোক আছে। দেওয়ালগুলা ঠিক করে দিলেই আর কেউ অনৈতিক কাজের জন্য আর কেউ ঢুকতে পারবে না।’



গোরস্থানের সহকারী ম্যানাজার লিয়াকত বলেন, ‘আমরা দেখি অনেক লোক আসে। তবে গেট দিয়ে তেমন কেউ ঢোকে না। ঐ যে ভাঙা দেয়াল গুলো আছে, ঐদিক দিয়েই ঢোকে বহিরাগতরা। আমরা যে কিছু বলবো বলতেও পারি না। কারন ধমক দিয়ে কিছু বললে বাহিরের পোলাপান এনে আমাদের ওপর হামলা চালাবে পরে।’

















You might also like

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.