Beanibazarview24.com
ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘা’তে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ৮০ জনের মৃ’ত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর মধ্যে কলকাতায় ১৯ জন এবং বিভিন্ন জেলায় ৬১ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়ে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষয়ক্ষতি মেরামতে প্রাথমিকভাবে ১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
করোনা পরিস্থিতিতে আর্থিক সঙ্কট চলায় বিপর্যয় মোকাবিলার প্রতিটি টাকা হিসাব করে খরচ করার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে, মৃ’তদের পরিবারকে আড়াই লাখ টাকা করে ক্ষ’তিপূরণও দেওয়ার কথা জানান তিনি।
পশ্চিমবঙ্গ প্রশাসন জানিয়েছে, কলকাতায় পানিতে ডুবে চারজন এবং বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পাঁচজনের মৃ’ত্যু হয়েছে।
রিজেন্ট পার্কে দেওয়াল চাপা পড়ে এক নারী ও তার ছেলে এবং কড়েয়ায় টালির চাল ভেঙে এক জনের মৃ’ত্যু হয়েছে। ঝড়ে উড়ে আসা টিনের চালার আ’ঘা’তে শম্ভুনাথ পণ্ডিত স্ট্রিটে এক যুবকের মৃ’ত্যু হয়েছে। এ ছাড়া ঝড়ে আরও দুজনের মৃ’ত্যুর সংবাদ পেয়েছে পুলিশ।
প্রশাসনের প্রাথমিক হিসেবে, পশ্চিমবঙ্গে আম্পান ৪০০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে তা’ণ্ডব চালিয়েছে। সাত-আটটি জেলা খুবই ক্ষ’তিগ্রস্ত, আরও চার-পাঁচটি জেলা বিপর্যস্ত। ক্ষ’য়ক্ষ’তির বিস্তারিত তথ্য জোগাড় করতে প্রতিটি দপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘১৭৩৭ সালে এমন দুর্যোগ হয়েছিল। সতর্কবার্তা পেয়ে পাঁচ লক্ষেরও বেশি মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরানো হয়েছিল বলে লক্ষাধিক প্রাণ বাঁচানো গেছে।
দুই ২৪ পরগনা ও কলকাতায় বিপুল ক্ষ’য়ক্ষ’তি হয়েছে। এর তীব্রতা আয়লার থেকেও অনেক বেশি। এ করোনার থেকেও ভ’য়াবহ দুর্যোগ।’
ইতিমধ্যেই কেন্দ্র সরকারের কাছ থেকে বকেয়া ৫৩ হাজার কোটি টাকা কাছে দাবি করা হয়েছে জানিয়ে মমতা বলেন, ‘অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ।
কেন্দ্র সরকারের কাছ থেকে কিছু পাইনি। আয় কিছুই নেই। পুরো খরচ ঘর থেকে করতে হচ্ছে। কীভাবে চলবে জানি না।’
ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, আবাসন, সেচ, বিদ্যুৎ সরবরাহ, পুকুর পরিষ্কার, মাছ ছাড়া এবং ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পকে সংযুক্ত করে পুনর্গঠনের কাজ করবে প্রশাসন।
খাবার পানি, ওষুধ, খাবার, মেডিকেল ক্যাম্প, রেশন পরিসেবা অবিলম্বে সচল করতে চাইছে সরকার। ফসলের ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট তৈরির পাশাপাশি কৃষকদের সাহায্যের রূপরেখা তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আম্পান পরবর্তী পুনর্গঠনে মন্ত্রীদের মধ্যে দায়িত্ব ভাগ করে দিয়েছেন তিনি। জেলাশাসকদের সহযোগিতা করার নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী এবং জনপ্রতিনিধিদের।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.