Beanibazarview24.com
দশ বছর বয়সী শিশু রিয়াদ হোসেন চলাফেরা তো দূরের কথা, উঠে বসতেও পারে না। তবুও মুখ ভরা হাসি নিয়ে বাড়ির উঠোনের এক কোণায় সারাদিন শুয়ে দিন কাটে তার।
পাবনার চাটমোহর উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের পূর্ব সাঁড়োরা গ্রামের দিনমজুর জহুরুল ইসলাম ও গৃহিণী রুবিয়া খাতুনের ছেলে রিয়াদকে শারীরিক অক্ষমতা ঠেলে দিয়েছে এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে। দুই বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে রিয়াদ মেজ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিবেশী শিশুরা যখন স্কুলে যায় তখন বাঁশের চরাটের উপর শুয়ে সবার দিকে চেয়ে থাকে শিশুটি। খেলাধুলা, স্কুলে যাওয়া তো দূরের কথা, বাবা-মা আর আত্মীয়-স্বজনদের কোলে চড়ে চলাফেরা করতে হয় সবসময়। জন্মের পর থেকেই চলাফেরায় অক্ষম রিয়াদ।
হাতে-পায়ে নেই কোনো শক্তি। তবুও পড়াশোনায় প্রবল আগ্রহ তার। বই দেখলেই পা দিয়ে পাতা ওল্টানোর চেষ্টা করে সে। নির্মাণ শ্রমিক বাবার পক্ষে ছেলের জন্য কিনে দেয়া সম্ভব হয়নি একটি হুইল চেয়ার।
দিনমজুরির অল্প উপার্জনে সংসার চলে কোনো রকমে। জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে বিভিন্নজনের কাছে ছেলের জন্য একটি হুইল চেয়ারের সহযোগিতা চেয়েও মেলেনি। পেয়েছেন শুধুই আশ্বাস!
ছেলের জন্য একটি হুইল চেয়ারের আকুতি জানিয়ে মা রুবিয়া খাতুন বলেন, ভোটের আগে বর্তমান চেয়ারম্যান বলেছিলেন ‘জিতলে তোমার ছেলেকে একটি হুইল চেয়ার দেব’। তিনি জিতেছেন, নতুন করে আবারও ভোটের সময় এসে গেল, কিন্তু আমার ছেলে হুইল চেয়ার পেল না! একটি হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা হলে, সে (রিয়াদ) স্বাভাবিক চলাফেরা করার সুযোগ পেত। এতে তারাও কিছুটা স্বস্তি পেতেন বলে জানান তিনি।
শিশু রিয়াদকে কারও হুইল চেয়ার দেয়ার আগ্রহ থাকলে এ বিষয়ে কথা বলতে পারেন চাটমোহরের স্থানীয় সাংবাদিক পবিত্র তালুকদারের ০১৭১৬১৬৪৪৬৭ সঙ্গে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.