Beanibazarview24.com
অনলাইন ক্যাসিনোর মূল হোতা ও কান্ট্রি হেড সেলিম প্রধানকে গ্রে’ফতারের পর অপরাধজগতের অনেক ফিরিস্তি এখন র্যাবের হাতে। উঠে এসেছে তার চাঞ্চল্যকর নারী কেলে’ঙ্কারির নানা তথ্য। র্যাবের জেরায় ক্যাসিনো খালেদের ক্যাশিয়ার মাকসুদসহ আরও বেশ কয়েকজনের নাম বেরিয়ে এসেছে। লোকমান, ফিরোজকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
সূত্র জানায়, অনলাইন ক্যাসিনোর হোতা সেলিম প্রধান তার অফিসের গোপন কক্ষে মেয়েদের সঙ্গে সময় কাটাতেন। তার এই অপকর্মে সঙ্গী শতাধিক তরুণী। সেলিমের অপকর্মের সাক্ষী সুলাইমান নামে তার এক গাড়িচালক জানিয়েছেন, সেলিমের গুলশানের বাসার চার তলার অফিসে একটি গোপন কক্ষ রয়েছে।
সেখানে গত ছয় মাসে অন্তত ১০০ তরুণীকে গাড়িতে করে নিয়ে গেছেন তিনি। সেলিম মাসের বেশির ভাগ সময় দেশের বাইরে থাকতেন। দেশে যখন আসতেন তখন দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা তার সঙ্গে ব্যস্ত থাকতে হতো। সারা রাত সেলিম অফিসের গোপন কক্ষে মেয়েদের সঙ্গে সময় কাটাতেন। অথচ নিচতলায়ই তার বড় স্ত্রী থাকতেন।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর ব্যাংকক যাওয়ার পথে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইট থেকে সেলিম প্রধানকে গ্রে’ফতার করা হয়। এরপর র্যাব হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদে দীর্ঘ ৩০ বছরে তার অপ’রাধজগতের অনেক ফিরিস্তি তিনি র্যাবের কাছে স্বীকার করেছেন। সেই সঙ্গে অপ’রাধজগতে পা দেওয়ার পর ৩৫০ কোটি টাকা পা’চারের তথ্যও দিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সেলিম প্রধান ও তার দুই সহযোগী আক্তারুজ্জামান ও রোমানকে মা’দকদ্রব্য নি’য়ন্ত্রণ আইনে করা মা’মলায় চার দিন করে রি’মান্ডে নিয়েছে পুলিশ। সেলিমের অ’পকর্মের বিষয়ে র্যাবের এক কর্মকর্তা জানান, সেলিম গুলশানের অফিসে তরুণীদের নিয়ে অনৈ’তিক কাজ করতেন। তার অফিস থেকে এর বেশ কিছু প্র’মাণও পেয়েছেন তারা। এতে ধারণা করা হচ্ছে, তার অফিসকে নানা ধরনের অ’নৈতিক কাজের জন্য ব্যবহার করতেন।
র্যাব সূত্র জানায়, খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া রিমান্ডে ঢাকা মহানগরী যুবলীগের (দক্ষিণ) আরেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাকসুদুর রহমান সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন। ক্যাসিনো কারবার, জু’য়ার আ’সর নি’য়ন্ত্রণ, চাঁ’দাবাজি ও মা’দক কারবার নি’য়ন্ত্রণ করে তিনি এখন কোটিপতি। তার অপকর্মের সব তথ্য তাদের হাতে এসেছে। যুবলীগের অন্যান্য নেতার মতো মাকসুদও ক্যাসিনো কারবারের অন্যতম সদস্য। এর আগে খালেদ ডিবির জিজ্ঞাসাবাদেও মাকসুদসহ ২৫ জনের নাম বলেছেন বলে জানা যায়। ওই ২৫ জন ক্যাসিনোকান্ডে র পাশাপাশি চাঁ’দাবাজি, মা’দক কা’রবার, টে’ন্ডারবাজিসহ নানা অপ’কর্মে জড়িত। গত কয়েক বছরে মতিঝিলের ক্লাবপাড়া থেকে মাকসুদের হাত দিয়ে লাখ লাখ টাকা ওই নেতার হাতে যেত। মাকসুদ মূলত তার অঘো’ষিত ‘ক্যা’শিয়ার’ ছিলেন বলে রি’মান্ডে জানিয়েছেন খালেদ।
– বিডি প্রতিদিন
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.