Beanibazarview24.com
একের পর এক বিয়ে করে দেনমোহর আদায় বাণিজ্যের নায়িকা ১১ বিয়ে করা আলোচিত হামিদা বেগম অবশেষে কারাগারে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হামিদা হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত তাকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
এর আগে ২৪ সেপ্টেম্বর এই আদালতে হামিদার বিরুদ্ধে একটি প্রতারণার মামলা দায়ের করেন সরাইল উপজেলার কালীকচ্ছ ইউপির দৌলতপাড়ার বাসিন্দা মো. জহিরুল ইসলাম। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে হামিদার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার আদেশ দিয়েছিলেন।
এদিকে সরাইল উপজেলার কালীকচ্ছ ইউনিয়নের কলেজপাড়ার মৃত বালু মিয়ার মেয়ে হামিদা বেগমকে আদালত কারাগারে পাঠিয়েছেন, এই খবরে স্থানীয় মানুষ আদালতের প্রতি সম্মানের সহিত অভিনন্দন জানিয়েছেন। কালীকচ্ছ এলাকার বাসিন্দা মো. শহিদুল ইসলাম জানান, এই নারীর কারণে এখানকার অনেক মানুষ অতিষ্ঠ। হামিদা প্রতারণার পর মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা তার পেশা ও নেশা।
এই বয়সে এই নারী একে একে ১১টি বিয়ে করেছে। মো. নাজমুল হোসেন নামে এক ব্যক্তি জানান, হামিদা যতদিন জেলে থাকবে, ততদিন আমাদের এলাকা পাপমুক্ত থাকবে। আমরা আদালতকে অভিনন্দন জানাই। হামিদার পেশা প্রবাসী ও ব্যবসায়ীদের ফাঁদে ফেলে বিয়ের পর তাদের কাছ থেকে দেনমোহর আদায় করা।
মামলার বাদী জহিরুল ইসলাম জানান, হামিদার প্রতারণার শিকার হয়ে আমি আদালতে মামলা দায়ের করি। সে আমার কাছ থেকে সাত লক্ষ পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে একটি চেক দিয়েছিল। সেই চেক সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে ডিজঅনার হয়।
এ মামলার বাদীর মনোনীত আইনজীবি অ্যাডভোকেট আশরাফ উদ্দিন মন্তু এ প্রতিবেদককে সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রতারণার মামলায় বৃহস্পতিবার জামিন নিতে আসলে আদালত হামিদা বেগম নামে ওই নারীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বর্তমানে হামিদা কারাগারে আছেন।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.