Beanibazar View24
Beanibazar View24 is an Online News Portal. It brings you the latest news around the world 24 hours a day and It focuses most Beanibazar.

নামে ফ্রি ভিসা দামেও বেশি, ঝুঁ’কি বেশি


মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদিআরব, কুয়েত, কাতার, দুবাই, ওমানসহ সব কয়টি দেশে ফ্রি ভিসা বেশি খোঁ’জে বিদেশগামী বাংলাদেশি শ্রমিকরা।

এসকল দেশগুলোতে ফ্যামিলি ভিসা, ভিজিট ভিসা, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার ভিসা, খাদেম (বাসা) ভিসা, বাগানের ভিসা, কোম্পানির ভিসাসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিসা দিয়ে থাকে।

ফ্রি ভিসা নামে কোন ভিসা হয় না।ফ্যামিলি ভিসা, ভিজিট ভিসা কাজ করার অনু’মোদন নেই। এছাড়া বাকী যেকোনো ভিসা নিয়ে যে দেশেই যান আপনাকে সেই মালিকের নিকট কাজ করতে হবে।

ফ্রি ভিসায় আশা শ্রমিকরা কাজের জন্য বিভিন্নস্থানে সকাল হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত বসে থাকে, ঘুরতে থাকে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে। অন্য মালিক অথবা অন্য কোন প্রতিষ্ঠানে কাজ করা সেই দেশের স্থানীয় আ’ইনে বেআ’ইনি ও অবৈ’ধ।

অন্যত্র কাজ করতে গিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের হাতে আ’টক হলে জ’রিমানা করতে পারে এমনকি ফি’ঙ্গার প্রিন্ট নিয়ে জে’লখা’টিয়ে দেশে পাঠিয়ে দিতে পারে সে দেশের আ’ইন শৃ’ঙ্খলার’ক্ষকরই বা’হিনী।

নিজের মালিকের অন্য কোথাও কাজ করা অবস্থা চে’কে ধ’রা পড়লে আ’ইডি কার্ডের নম্বর নিয়ে সিস্টেম ব্ল’ক করে রাখে আকা’মা শেষ হলে পরবর্তীতে এই আকা’মা আর রি’নিউ করা যায় না। আবার অনেক সময় কোম্পনি বা মালিক নো’টিশ করা হয় আগামী সপ্তাহ পনের দিনের মধ্যে এই লোককে দেশে পাঠিয়ে দিতে।

আকা’মা লাগাতে না পারলে সেই শ্রমিক অবৈ’ধ হয়ে যায়।শুরু হয় ফ্রি ভিসায় আসা শ্রমিকদের অনি’শ্চিত জীবনের পথ চলা। ভিসার দা’লালরা ভিসাগুলো নেয়ার সময় মালিকে বিভিন্নভাবে লো’ভ দেখিয়ে নিয়ে থাকে। ভিসা দেয়ার সময় মালিকরাও বলেদেন নিরাপদে থাকতে কারণ চেকে স্থানীয় প্রশাসনের হাতে আ’টক হলে মালিকেও কৈ’ফিয়ত দিতে হয়, তার লাইসে’ন্সরে ওপর জরিমা’না সিস্টে’ম ব্ল’ক করে দেয়া হয়।

মালিক নিজে বা’চঁতে শ্রমিকদের দায়ভার নিতে চায় না। যেহেতু ভিসার দা’লালেরা আগেই তাদেরকে টাকার বিনিময়ে ভিসা বি’ক্রির নিয়ম শি’খিয়ে দিয়েছে সেই ক্ষেত্রে কোন সময় বিপদে পড়লে বেশিরভাগ মালিক এড়িয়ে চলে তাকে দেশে পাঠিয়ে দিলে মালিক ভিসাটা পুনরায় অন্য আরেকজনের কাছে বিক্রি করতে পারবে।

যারা কাজ জানে সে দেশের ভাষাজানে তাদের অনেকেই হয়তো ঝুঁ’কি নিয়ে ভালই আয় করছেন রিজিকরে উপর বিশ্বাস করে।অদ’ক্ষ অনেক বাংলাদেশি শ্রমিক দা’লালরা তাদেরকে উদাহারণ হিসেবে দেখিয়ে উচ্চ মূল্যে ভিসা বিক্রি করে। সেও ধার দে’না, লো’ন, জমিজমা বন্ধ’ক ও ভিটাবাড়ী বি’ক্রি করে পরিবারের সচ্ছ’লতা ফেরাতে ছুটে যান অনি’শ্চিত ভবিষ্যৎ ও গন্তব্যে। দালা’লরে কথা ও বাস্তবতার সঙ্গে যখন মিল খুঁজে পায় না কাজের জন্য ঘুরতে হয় রাস্তায় রাস্তায় দুইদিন পেলে তিন দিন বে’কার আবার অনেক সময় ৩/৬ মাস একটা কাজ করার পর সেই কাজ শেষ হয়ে গেলে পুনরায় আবার কাজের সন্ধা’ন করতে হয়।

যাদের হয়তো পরিচিত বন্ধু বান্ধব অথবা আত্মীয় আছে তারা কোন কাজ দিয়ে পারে যদি তাদের জানা থাকে।দেখা যায় নতুন কাজ আগের কাজ মিলেনি।বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কাজ করতে করতে কোন কাজই শেখা হয় না ভালভাবে।

কাজের জন্য পরিচিতদের কে জানালে তারা দেখছি দেখছি ফোন দিয়েছি জানাবো ইত্যাদি কথা বলে সা’ন্ত্বনা দেয় বেশিরভাগ সময় আর যাদের পরিচিত কেউ নেই তাদের কাজ পাওয়া আরও ক’ষ্টকর হয়ে পড়ে।

কাজ না পেলে অর্থ কষ্টে’ মা’নবে’তর জীবনযা’পন করতে এমন অনেক প্রবাসী রয়েছে।যার আশায় পথ চেয়ে থাকে পরিবার সে যদি এমন পরিস্থিতিতে পড়ে তার পরিবারের ক’রুন অবস্থার কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। ঋ’ণের সু’দ, পরিবারে খ’রচ, চাকুরির খোঁ’জ, বেতন ব’কেয়া, আকামা সম’স্যা ইত্যাদি মান’সিক চা’পে বাসা বাঁ’ধে নিরব ঘা’তক স্ট্রো’ক।

বর্তমানে বিদেশে শ্রমিকদের স্ট্রো’কে মৃ’ত্যুর সংখ্যা দিনদিন বেড়েই চলছে। পরিবারে জন্য সুখ কিনতে যাওয়া সেই মানুষটি যখন কা’ঠের কফিন ব’ন্দী হয়ে দেশে ফিরে হতা’শা আর অ’ন্ধ’কার নেমে আসে সেই প্রবাসীর পরিবারে।

কুয়েত প্রবাসী ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক সেলিম ভূঁইয়া ফ্রি ভিসা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ফ্রি ভিসা বলে কোন ভিসা হয় না। লোকের দেয়া নাম এটা।পুরোটা নসিবের উপর কাজ ও ভাষা জানা থাকলে তারা লাখ টাকা আয় করছে কেউ আবার কেউ নিজের থাকা খাওয়ার টাকা জোগাড় করতে পারলেও দেশে পরিবারের খরচ ঠিকমত বহন করতে পারে এমন লোকের সংখ্যা বেশি।

কুয়েত ভিসা খরচ ১ লাখ টাকার মতো। কিন্তু দা’লালদের হাত বদলের ফলে ভিসা মূল্য দাঁড়িয়েছে ৭ থেকে ৮ লাখ টাকায়। ফ্রি ভিসা অবৈ’ধ এবং এই ভিসায় ঝুঁ’কি বেশি।

সাহিত্যিক ও সংগঠক রফিকুল ইসলাম ভুলু বলেন, মালিক থাকলেও কাজ নিজেকে খোঁ’জে নিতে হয়। যে কারণে এসব শ্রমিকরা বিভিন্ন স্থানে ঝুঁ’কি নিয়ে কাজের স’ন্ধানে অপেক্ষায় থাকে বা ঘুরতে দেখা যায়।চেকে বা অ’ভিযানে ধ’রা প’ড়লে জে’ল, জ’রিমানা, দেশে পাঠিয়ে দেওয়ার ঝুঁ’কি ও আ’তংকিত অবস্থায় থাকতে হয় সব সময়। ফ্রি ভিসা যেকোনো দেশে অবৈ’ধ।আগেও এইভাবে কাজের জন্য বসে থাকতো। লোক কম ছিল, কাজ ছিল বেশি কাজের মূল্য ছিল। বর্তমানে কাজ কম, লোক বেশি তাই কাজের মূল্যও কম। যাদের পরিচিত লোক আছে তাদের কেউ কেউ কাজ পেলেও আবার যার কেউ নেই সে বেকার অস’হায় মান’বেতর জীবন যাপন করে ফ্রি ভিসায় এসে।অবৈ’ধ শ্রমিক ধরতে আগের তুলনায় চেক বর্তমানে অভি’যান বেশি হয়।

You might also like

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.