Beanibazarview24.com
হবিগঞ্জে স্ত্রীর প’রকীয়া প্রেমের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পারিবারিক ক’লহে অতিষ্ঠ হয়ে স্ত্রী ও শাশুড়িকে হ’ত্যা করেছে সবজি ব্যবসায়ী সেলু মিয়া।
বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলামের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্ত্রী ও শাশুড়ি হ’ত্যাকাণ্ডের স্বী’কারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন সেলু মিয়া। তিনি হবিগঞ্জ শহরের উমেদনগরের নুর মিয়া ছেলে।
বুধবার দিবাগত রাত ১১টায় হবিগঞ্জের পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে স্বীকারোক্তি নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা।
সেলু মিয়ার স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার জানান, প্রায় দেড় বছর আগে ঘরে স্ত্রীসহ ২ সন্তান থাকাবস্থায় সেলু মিয়া বানিয়াচং উপজেলার তারাসই গ্রামের ফুলবরন নেছার সঙ্গে প’রকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে তাকে বিয়ে করেন। এক পর্যায়ে দ্বিতীয় স্ত্রী ফুলবরন নেছা আবারও অন্যের সঙ্গে পর’কীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি তিনি মেনে নিতে পারেননি।
এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝ’গড়া হতো। এ পরিস্থিতিতে সেলু মিয়া প্রথম স্ত্রীর বাবা ও ভাইকে সঙ্গে নিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রী ও তার মাকে হ’ত্যার পরিকল্পনা করেন। এরই অংশ হিসেবে তিনি দ্বিতীয় স্ত্রী ও শাশুড়িকে আলাদা বাসায় উঠানোর কথা বলে সিএনজি অটোরিকশাযোগে তাদেরকে বাসা দেখাতে নিয়ে যান। পূর্ব পরিকল্পনা মা’ফিক তাদেরকে শহরতলীর খোয়াই নদীর কাছে নিয়ে তাদেরকে পি’টিয়ে ও দা’ দিয়ে কু’পিয়ে হ’ত্যা করে উভয়ের লা’শ নদীতে ভাসিয়ে দেয় সেলু মিয়া, তার প্রথম শ্বশুর ও স’ম্বন্ধি।
পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে সেলু মিয়াকে গ্রে’ফতার করলে তিনি হ’ত্যাকাণ্ডের স্বী’কারোক্তি দেন।
সৌজন্যে : বিডি প্রতিদিন
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.