Beanibazarview24.com
পাকিস্তানি এক নারীর সঙ্গে অনলাইনে প্রেমে মজেছিলেন ভারতের এক কলেজশিক্ষক হামিদ আনসারি। তিনি পাকিস্তানের খাইবার পাকতুনখাওয়া প্রদেশের ওই নারীর ভালোবাসার টানে বিনা পাসপোর্টেই সীমান্তরক্ষীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে চলে যান পাকিস্তানে। খবর বিবিসির।
পাকিস্তানে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের দায়ে ছয় বছর কারাভোগের পর গত মঙ্গলবার ভারতীয় ওই যুবক তার নিজের দেশে ফেরত এসেছেন। হামিদ আনসারিকে পাকিস্তানের ভুয়া পরিচয়পত্রসহ আটক করার পর কারাদণ্ড দেয়া হয়।
কিন্তু তার পরিচিত ব্যক্তিরা বলছেন, আনসারি পাকিস্তানে এক নারীর প্রেমের টানে সে দেশে ছুটে গিয়েছিলেন। ওই নারীর সঙ্গে হামিদ আনসারির অনলাইনে পরিচয় হয়েছিল।
তবে সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে যাওয়ার পর দুজনের মধ্যে দেখা হয়েছিল কিনা সেটি পরিষ্কারভাবে জানা যাচ্ছে না। ভারতে আসার পর ওয়াগা সীমান্তে আনসারিকে গ্রহণ করে তার পরিবার। সেখানে তখন সরকারি কর্মকর্তা ও সাংবাদিকরাও ছিলেন।
২০১২ সাল থেকেই পাকিস্তানের কারাগারে আটক ছিলেন আনসারি। তার পরিবার গত এক বছর ধরে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছে। যদিও ২০১৫ সালে আনসারির কারাদণ্ড দেয়া হয়, কিন্তু তিনি ২০১২ সাল থেকেই পাকিস্তানের কারাগারে আটক ছিলেন।
গত রবিবার তার কারাদণ্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে আরও কয়েক দিন সময় লেগেছে। মুম্বাই কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল ফৌজিয়া আনসারি ও ব্যাংকার নিহাল আনসারির ছোট ছেলে হামিদ আনসারি।
২০১২ সালে ৩৩ বছর বয়সী হামিদ আনসারি একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রভাষক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। তখন তিনি পরিবারকে জানান, একটি বিমান সংস্থায় সাক্ষাৎকার দেয়ার জন্য তিনি আফগানিস্তানে যাচ্ছেন। কিন্তু আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে পৌঁছানোর কয়েক দিন পরেই নিখোঁজ হয়ে যান হামিদ আনসারি। তিনি পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন এবং তার মোবাইল ফোনও বন্ধ রাখেন।
এর পর বাড়িতে থাকা আনসারির কম্পিউটার থেকে তার পরিবার জানতে পারে যে, ইমেইল এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আনসারি পাকিস্তানের কয়েকজন ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন। তার পর আনসারির বাবা-মা বুঝতে পারেন যে তিনি পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে অবস্থান করছেন।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.