Beanibazarview24.com
বেনাপোলে একাধিক পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে বিদেশ থেকে আসা স্বামী জামাল হোসেনকে (৩৬) দেশে আসার মাত্র ১০ ঘন্টা পর প্রেমিকদের সহযোগিতায় প্রিয়তম স্ত্রী কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী ও তার মা-বাবাসহকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত জামাল হোসেন বেনাপোল পোর্ট থানার ধান্যখোলা গ্রামের হবিবর রহমানের ছেলে।
বুধবার সকালে নিজ বাড়ির বেড রুমে স্ত্রী আয়েশা তার স্বামীকে কথিত প্রেমিক ও নিজ বাবা-মায়ের সহযোগিতায় হত্যা করে বলে দাবি নিহতের পরিবারের। তবে ওই প্রেমিককে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
আটককৃতরা হলো, নিহত জামালের স্ত্রী আয়েশা খাতুন, শশুর রিয়াজুল ইসলাম টুক, ও শাশুড়ী ফুলবুড়ি।
নিহতর বাবা হবিবার রহমান অভিযোগ করে বলেন, তার ছেলে প্রায় ১৫ বছর যাবৎ মালয়েশিয়া থাকে। একই গ্রামের রিয়াজুলের মেয়ে আয়েশার সাথে তার প্রায় ১৫ বছর পূর্বে বিবাহ হয়। আর বিগত এই ১৫ বছরে তার ছেলে মালয়েশিয়া থেকে মাত্র ৩ বার বাড়ি এসেছে। তার বাড়ি না থাকার সুযোগে স্ত্রী আয়েশা এলাকার বিভিন্ন ছেলের সাথে পরকীয়া প্রেম করত।
প্রায়ই কারো না কারো সাথে সে মোটর সাইকেলে বাড়ি থেকে বের হয়ে দুই তিন দিন পর বাড়ি ফিরত। তার ছেলের আলাদা করে বাড়ি (বিল্ডিং) তৈরি করেছে সেই বাড়িতে আয়েশা ও তার মা বাবা বসবাস করত।
তার ছেলে গতকাল মঙ্গলবার বেলা ২ টার সময় মালয়েশিয়া থেকে বাড়িতে আসে। আর রাত ১ টার সময় তার বুকে পেটে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে তার স্ত্রী ও সহযোগীরা। তবে কার সাথে প্রেম করত তার ছেলের স্ত্রী এ প্রশ্নে তিনি এলাকার লোকের বাঁধার মুখে নাম বলতে অস্বীকার করে।
স্থানীয়রা জানায়, স্বামী বিদেশ থাকার সুযোগে আয়েশা একাধিক প্রেম সম্পর্ক গড়ে তোলে এলাকায়। কেউ তাকে ফোন করে ডাকলে সে মোটর সাইকেল ভাড়া করে দুই তিনদিন একাধারে হারিয়ে যেত। এর আগে গতবার যখন তার স্বামী বিদেশ থেকে বাড়ি এসেছিল তখনও তাকে বিদ্যুতের তার জড়িয়ে হত্যা করার চেষ্টা করে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি (তদন্ত) আলমগীর হোসেন বলেন, হত্যার তদন্তের জন্য স্ত্রীসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের সাথে আলাপ চলছে কে বা কারা এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত তদন্ত না করে কিছু বলা যাবে না।
তবে লাশ ময়না তদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.