Beanibazarview24.com
প্রেমিকা সেজে আসামি ধরেছেন এক নারী পুলিশ সদস্য। গত শুক্রবার ট্রাক্টর চোর চক্রের ওই সদস্যকে গ্রে’প্তার করা হয়।
টাঙ্গাইলের সখীপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, তাদের এক নারী সদস্য ট্রাক্টর চোর চক্রের এক সদস্যকে ধরেছেন। তবে এ জন্য ওই নারী পুলিশকে প্রেমের অভিনয় করতে হয়েছিল।
সখীপুর থানার ওসি আমির হোসেন বৃহস্পতিবার দুপুরে সাংবাদিকদের বলেন, সংঘবদ্ধ চোর চক্রকে ধরার স্বার্থে গ্রে’প্তারের বিষয়টি এত দিন গোপন রাখা হয়েছিল। এর আগে একই থানার এসআই ফয়সাল আহমেদ রিকশাওয়ালা সেজে হত্যা মামলার আসামি ধরেন।
গ্রে’প্তার ব্যক্তির নাম সাব্বির আহমেদ ওরফে বাবু । সাব্বির আহমেদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে তানভীর আহমেদ নামের আরেক ব্যক্তিকেও পুলিশ গ্রে’প্তার করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, সাব্বির আহমেদ ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানা এলাকার বাসিন্দা। তানভীর কিশোরগঞ্জের সদর উপজেলার উত্তর মোল্লাবাড়ী এলাকার বাসিন্দা।
সখীপুর থানার এসআই ওবায়দুল্লাহ বলেন, ১১ সেপ্টেম্বর সকালে সাব্বির জমি চাষ করবেন বলে লাক মিয়া নামের এক ট্রাক্টর মালিককে সখীপুরের কচুয়া বাজারে আসতে বলেন। লাক মিয়া ট্রাক্টর চালিয়ে কচুয়া বাজারে আসেন। এরপর সংঘবদ্ধ চোরেরা লাক মিয়াকে জুসের সঙ্গে অচেতনকারী ওষুধ খাওয়ায়।
এরপর তারা লাক মিয়ার ট্রাক্টর ও মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায়। লাক মিয়াকে বাজারের একটি ঘরে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। ওই অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সুস্থ হয়ে ১৯ সেপ্টেম্বর লাক মিয়া বাদী হয়ে সখীপুর থানায় মামলা করেন।
এসআই বলেন, ট্রাক্টর নেয়ার কয়েক দিন পর সাব্বির মোবাইল ফোনে লাক মিয়ার কাছে টাকা দাবি করেন। বিকাশের মাধ্যমে দুই লাখ টাকা দিলে ট্রাক্টর ফেরত দেয়া হবে বলে জানান সাব্বির। লাক মিয়া বিষয়টি থানার পুলিশকে জানান।
আসামি সাব্বিরকে ধরতে সখীপুর থানার নারী কনস্টেবল পারুল আক্তার ওই নম্বরে ফোন দিয়ে প্রেমের অভিনয় করেন। একপর্যায়ে সাব্বির ওই নারী পুলিশের প্রেমে পড়ে যান। ২৭ সেপ্টেম্বর সকালে সাব্বির তার প্রেমিকা পারুলের সঙ্গে দেখা করতে সখীপুর আসেন।
সখীপুর পিএম মডেল গভ. স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে পারুলের সঙ্গে সাব্বিরের দেখা হয়। সাদাপোশাকে পুলিশ ওই বিদ্যালয়ের আশপাশে অবস্থান নেয়। একপর্যায়ে নারী পুলিশ পারুল সাব্বিরের জামার কলার ধরে টেনে এনে অন্য পুলিশ সদস্যদের কাছে তুলে দেন।
এসআই ওবায়দুল্লাহ বলেন, সাব্বিরের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে তানভীরকেও পুলিশ গ্রে’প্তার করে। পুলিশ লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ থানা এলাকা থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর ট্রাক্টরটি উদ্ধার করে।
সখীপুর থানার ওসি আমির হোসেন বলেন, সাব্বির ট্রাক্টরটি বিক্রি করে দিয়েছিলেন। পুলিশ ট্রাক্টর বিক্রির ৫০ হাজার টাকাও উদ্ধার করেছে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.