Beanibazarview24.com
রাজধানীর তেজগাঁও এলাকার ফু-ওয়াং ক্লাবে রাতভর অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ম’দ ও বি’য়ার উদ্ধার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
বুধবার মধ্যরাত শুরু হয় এই অভিযান, চলে প্রায় ১১ ঘণ্টা। পরে গুলশান-তেজগাঁও লিংক রোডের ক্লাবটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। এসময় গ্রেপ্তার করা হয় তিনজনকে।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ফু-ওয়াং ক্লাবের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব সদর দফতরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম বলেন, এখানে অনুমোদিত মাদকের বাইরে তিন শতাংশ অবৈ’ধ মা’দক মজুদ করে রেখেছিল তারা। যার কোনো কাগজপত্র তাদের কাছে নেই।
তিনি জানান, ফু-ওয়াং ক্লাব থেকে ২০০০ এর মতো বিদেশি ম’দের বোতল ও ১০ হাজার হান্টার ক্যান ও নগদ সাত লক্ষাধিক টাকা জব্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া ক্লাবের তিনজন কর্মচারীকে আ’টক করা হয়েছে। তারা হলেন- জাহিদ, জেবিয়ার জেরি ডিকস্টা ও চঞ্চল।
ফু-ওয়াং ক্লাবের সদস্য ছাড়াও বাইরের অনেকেই সেখানে যেতেন এবং মা’দক সে’বন করতেন বলেও জানান সারোয়ার বিন কাশেম। তিনি বলছিলেন, ‘এখানের মা’দকদ্রব্য বাইরেও বিক্রি করা হতো এবং এই ক্লাবের সদস্য নন তারাও এখানে এসে মা’দক সেবন করতেন।’
অভিযান পরিচালনা করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রের আনিসুর রহমান ও নিজাম উদ্দীন। ক্লাবটি ইতোমধ্যে সিলগালা করে দিয়েছে র্যাব।
এর আগে, সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে ক্লাবটিতে অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ। চলমান ক্যাসিনো, জু’য়া, হাউজি ও মা’দকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে অভিজাত এলাকার এ ক্লাবটিতে অভিযান চালানো হলেও অবৈধ কিছু পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছিল পুলিশ।
অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল আল মামুন বলেছিলেন, ‘ফু-ওয়াং ক্লাবে পরিচালিত অভিযানে অবৈধ কোনও কিছু পাওয়া যায়নি। এখানে একটি বার রয়েছে, তবে ক্লাব কর্তৃপক্ষ ওই বারের অনুমতিপত্র (লাইসেন্স) দেখাতে পেরেছে।’
পুলিশের অভিযানের দু’দিন পর বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাত থেকে ক্লাবটিতে অভিযান শুরু করে র্যাব। প্রায় দুই ঘণ্টা অভিযান শেষে রাত ২টার দিকে ক্লাবটি থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি ম’দ ও বি’য়ার উদ্ধার করার কথা জানান র্যাবের এএসপি মিজানুর রহমান।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.