Beanibazarview24.com
ফেনীর সোনাগাজীতে মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির জানাজায় অংশ নিতে হাজারও মানুষের ঢল নেমেছে। স্থানীয় ও জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা হাজারও মানুষ তার নামাজের জানাজায় অংশ নেন।
বুধবার (১১ এপ্রিল) মো. ছাবের সরকারী পাইলট হাইস্কুল মাঠে সন্ধ্যা ৫টা ৫০ মিনিটে তার নামাজের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন তার বাবা একেএম মুসা। জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাদির কবরের পাশে রাফিকে সমাহিত করা হয়।
এর আগে বিকেল পাঁচটার দিকে তার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছে। সেখানে নুসরাতকে শেষবারের মতো একপলক দেখার জন্য হাজারো মানুষ ভিড় করে। তারা এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
গতকাল রাত সাড়ে নয়টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে তিনি মারা যান। সকালে ঢামেক মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে বেলা সোয়া ১২টার দিকে নুসরাত জাহান রাফির মরদেহ তার বাবা এ কে এম মুসার কাছে বুঝিয়ে দেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের চিকিৎসক প্রদীপ বিশ্বাস।
নুসরাতকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। তার শরীরের ৭৫ শতাংশ আগুনে পুড়ে যায় বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা। নুসরাতের ফুসফুসকে সক্রিয় করতে গেল মঙ্গলবার সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকদের পরামর্শে অস্ত্রোপচার করা হয়।
বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জাতীয় সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন জানান, মৃত্যুর কারণ রক্ত ও ফুসফুসের মারাত্মক সংক্রমণ থেকে কার্ডিও রেসপিরেটরি ফেইলিয়র (হৃদ্যন্ত্রে ক্রিয়া বন্ধ) হয়। এতেই মৃত্যু হয় তার।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.