Beanibazarview24.com
চট্টগ্রামে একটি মাদ্রাসায় হাফেজি পড়ুয়া ছাত্র হাবিবুর রহমানের (১১) লাশ উদ্ধারের ঘটনায় ওই মাদ্রাসার শিক্ষকদের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শুক্রবার শিশুটির বাবা আনিসুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ওমর ফারুক আল ইসলামিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবু দারদা খান এবং ওই মাদ্রাসার শিক্ষক তারেকুর রহমানের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৬ থেকে ৭ জনকে আসামি করা হয়।
পুলিশ শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত মাদ্রাসা অধ্যক্ষ আবু দারদা খান, শিক্ষক তারেকুর রহমান, মো. জুবাইয়ের, আনাস আলী, মো. আবদুস সামাদসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে।
বায়েজিদ বোস্তামি থানার ওসি আতাউর রহমান খন্দকার বলেন, মাদ্রাসাছাত্রের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা হয়েছে।
নিহত শিশুটির বাবা মামলায় অভিযোগ করেছেন, ‘হাবিবুর রহমানকে নির্যাতনের পর পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ হত্যার ঘটনা আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে লাশ মাদ্রাসার জানালার সঙ্গে টাঙিয়ে দিয়েছে।’
এ ঘটনায় গ্রেফতার পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে চসিকের স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর কফিল উদ্দিন খান বলেন, ‘মাদ্রাসায় পড়তে গিয়ে কোনো ছাত্র লাশ হোক- তা কোনোভাবে কাম্য নয়। ওই ছাত্রের সঙ্গে বদমাইশি করে তাকে মেরে ফেলেছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হোক। কেননা এ মাদ্রাসায় আগেও ছাত্রদের সঙ্গে শিক্ষকদের অনৈতিক ঘটনায় সালিশ-বিচারও হয়েছিল বলে স্থানীয়দের কাছে জেনেছি।’
উল্লেখ্য, বুধবার রাতে মাদ্রাসার চতুর্থ তলায় জানালার গ্রিল থেকে ছাত্র হাবিবের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। হাবিব ওই মাদ্রাসার হেফজ শ্রেণিতে পড়ত। খাগড়াছড়ির দিঘীনালা উপজেলার মধ্য বোয়ালখালী পশ্চিমপাড়ায় তাদের বাড়ি। তার বাবা আনিসুর রহমান চট্টগ্রাম নগরীতে অটোরিকশা চালান। পরিবার নিয়ে থাকেন শেরশাহ বাংলাবাজার এলাকায়। তবে হাবিব মাদ্রাসার ছাত্রাবাসে থেকেই লেখাপড়া করত।
এদিকে মাদ্রাসাছাত্রের লাশ উদ্ধারের পর পরই বিক্ষোভ করে এলাকাবাসী। তারাও হাবিবকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে জড়িতদের শাস্তি দেয়ার স্লোগান দেয়। এ সময় বিক্ষুব্ধ লোকজন ওমর ফারুক আল ইসলামিয়া মাদ্রাসায় তালা লাগিয়ে দেয়।
সূত্রঃ যুগান্তর
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.