Beanibazar View24
Beanibazar View24 is an Online News Portal. It brings you the latest news around the world 24 hours a day and It focuses most Beanibazar.

মাস্ক ছাড়া বাইরে বের হলে ১ লাখ টাকা জরিমানা, ৬ মাসের জেল


করোনাভাইরাস মহামারী মোকাবেলায় ৬৬ দিন পর অবশেষে আজ রোববার (৩১ মে) থেকে সবকিছু খুলে দেওয়া হল। একই সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে সরকার। করোনাভাইরাস মোকাবেলায় স্বাস্থ্যবিধি পালনের অন্যতম অনুসঙ্গ মাস্ক। কেউ যদি এটা না পরে বাইরে বের হয় তাহলে সেটা হবে আইনের লঙ্ঘন, বলেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

শনিবার (৩০ মে) রাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানার স্বাক্ষরে এ সংক্রান্ত একটি সাকুর্লার জারি করা হয়।

মাস্ক পরিধান না করা ব্যক্তিকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হবে অথবা জেল দেওয়া হবে ৬ মাসের। কোনো কোনো ক্ষেত্রে উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার আশংকাও রয়েছে। এছাড়া স্বাস্থ্যবিধির অন্য যে কোনো একটি না মানলে দেওয়া হবে ৩ মাসের জেল অথবা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা। এক্ষেত্রেও উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।

আদেশে বলা হয়, ‘বাইরে চলাচলের ক্ষেত্রে সবসময় মাস্ক পরিধানসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে, অন্যথায় নির্দেশ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ১৯ নং আইন) এর ধারা ২৪ (১), (২) ও ধারা ২৫ (১) (ক, খ) এবং ধারা ২৫ (২) অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। জেলা প্রশাসন অথবা যথাযথ কর্তৃপক্ষ সতর্কভাবে এটি বাস্তবায়ন করবেন’।

এতে বলা হয়েছে, চলাচল নিষেধাজ্ঞার সময় জনসাধারণ এবং সব কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের জারি করা নির্দেশগুলো কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।

“রাত ৮টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত প্রয়োজনীয় ক্রয়-বিক্রয়, কর্মস্থলে যাতায়াত, ওষুধ ক্রয়, চিকিৎসা সেবা, মৃতদেহ দাফন বা সৎকারের মতো অতি জরুরি কাজ ছাড়া কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে যাওয়া যাবে না।”

আদেশে বলা হয়, সবকিছু খুলে দেওয়া হলেও অপ্রয়োজনে কাউকে রাস্তায় দেখতে পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শুধু অফিস বা অন্যান্য জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হওয়া যাবে। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে জরিমানা কিংবা কারাদণ্ডের বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে সেখানে।

প্রসঙ্গত, সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮ এর ২৪ (১) এর ধারায় বলা হয়েছে, ‘যদি কোনো ব্যক্তি সংক্রামক জীবাণুর বিস্তার ঘটান বা বিস্তার ঘটিতে সহায়তা করেন, বা জ্ঞাত থাকা সত্ত্বেও অপর কোনো ব্যক্তি সংক্রমিত ব্যক্তি বা স্থাপনার সংস্পর্শে আসিবার সময় সংক্রমণের ঝুঁকির বিষয়টি তাহার নিকট গোপন করেন তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধ’।

ওই আইনের ২৪ (২) এর ধারায় বলা হয়েছে, ‘যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো অপরাধ সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনূর্ধ্ব ৬ (ছয়) মাস কারাদণ্ডে, বা অনূর্ধ্ব ১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন’।

You might also like

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.