Beanibazar View24
Beanibazar View24 is an Online News Portal. It brings you the latest news around the world 24 hours a day and It focuses most Beanibazar.

যুক্তরাষ্ট্রে সিলেটি মেয়ে ডেমোক্র্যাট দল থেকে মনোনয়ন লড়াইয়ে







যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রগতিশীল নেতা ও কংগ্রেস সদস্য আলেক্সান্দ্রিয়া ওকাসিয়ো-কর্টেজের বিরুদ্ধে নির্বাচনী মনোনয়ন পেতে প্রচার শুরু করেছেন বাংলাদেশী-আমেরিকান অ্যাকটিভিস্ট বদরুন খান। নিউ ইয়র্কের একটি অলাভজনক সংস্থার ফাইন্যান্সিয়াল কন্ট্রোলার ও ডেমোক্র্যাট সদস্য বদরুন খান বলেছেন, তিনি দলের বিরুদ্ধে নয়, বরং প্রার্থীর বিরুদ্ধে লড়ছেন।



নিউ ইয়র্কের ১৪তম কংগ্রেসনাল ডিস্ট্রিক্টের প্রতিনিধি আলেক্সান্দ্রিয়া ওকাসিয়ো-কর্টেজ। সংক্ষেপে ‘অ্যাওসি’ নামে পরিচিত এই কংগ্রেস সদস্য ডেমোক্র্যাটিক ককাসের কো-চেয়ার জো ক্রাউলিকে প্রাথমিক নির্বাচনে হারিয়ে দলীয় মনোনয়ন নিশ্চিত করেন। তার দর্শনের শেকড় সমাজতন্ত্রে রয়েছে বলে অনেকেই মনে করেন। এবার তাকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন বাংলাদেশী-আমেরিকান বদরুন খান। তিনি বলেন, কমিউনিটির বড় বড় ইস্যুর সমাধানের পথ সমাজতন্ত্র নয়।



বদরুন খানের নির্বাচনী বার্তা হলো, ‘সত্যিকারের ফল, ফাঁপা প্রতিশ্রুতি নয়’। এই বার্তার মধ্য দিয়ে কার্টেজের প্রতি তার মনোভাব প্রতিফলিত হয়েছে।

বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আসা অভিবাসীর মেয়ে বদরুন খান অভিযোগ করেন, কর্টেজ তার কংগ্রেশনাল ডিস্ট্রিক্টের কমিউনিটির সাথে খুব বেশি সম্পৃক্ত নন।

নিউ ইয়র্ক থেকে আমাজন কোম্পানিকে বিতাড়িত করতে কর্টেজের উদ্যোগের সমালোচনা করে বদরুন খান বলেন, পুরো কংগ্রেশনাল ডিস্ট্রিক্টের মানুষ এটাতে অখুশি। এতে কর্মসংস্থানের ক্ষতি হবে। বেকার হওয়াদের কাজে ফেরাতে তার কী পরিকল্পনা রয়েছে, আমি তা জানতে চাই।



বদরুন খান বিশ্বাস করেন আমাজনকে বিতাড়ন করার পরিবর্তে আরো ভালোভাবে পরিস্থিতি সামাল দেয়া যেত। তিনি বলেন, কর্মসংস্থান হারানো নিয়ে কমিউনিটির বহু সদস্য আমাকে তাদের হতাশার কথা বলেছেন।

এই অ্যাক্টিভিস্ট জানান, তিনি সবার সাথে যোগাযোগ শুরু করেছেন আর বাংলাদেশী কমিউনিটির কাছ থেকে যে সাড়া পাচ্ছেন তা উৎসাহব্যঞ্জক। আগামী রোববার তিনি প্রচারণার তহবিল সংগ্রহে একটি আয়োজনের পরিকল্পনা করছেন। আশা করছেন ভালো সহায়তা পাবেন।
নির্বাচনী প্রচারণায় গত বছর নিউ ইয়র্কের বাংলাদেশী কমিউনিটি থেকে ব্যাপক সমর্থন পেয়েছিলেন কর্টেজ। এমনকি তার প্রচারণা ব্যবস্থাপকও ছিলেন একজন বাংলাদেশী-আমেরিকান। নিজের প্রগতিশীল মতামতের জন্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি। তবে এতে নিজ দলের প্রগতিশীল অংশের মধ্যে সমর্থন জোরালো হয়েছে তার।



তবে বদরুন খান মনে করেন, সমর্থন জোরালো হওয়ার অর্থ এই নয় যে, দলের অভ্যন্তরে কেউ তাকে চ্যালেঞ্জ জানাবে না। তিনি বলেন, আমার বিশ্বাস প্রতিটি আসনের প্রাথমিক নির্বাচনের জন্যই লড়াই হবে।

বদরুন খানের চ্যালেঞ্জ প্রসঙ্গে কর্টেজ মার্কিন সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, আমি কেবল আমার ডিস্ট্রিক্টের সেবা করাতেই মনোযোগ দিচ্ছি আর সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। মাঠের অন্যান্য বিষয়ের প্রতি মনোযোগ দেয়ার কোনো চেষ্টা নেই আমার।

প্রার্থিতা চূড়ান্ত করতে বদরুন খানকে এখনো বহু পথ পাড়ি দিতে হবে তবে নিজের বিষয়ে আশাবাদী তিনি। বলেন, আমি জানি এটা একটা বড় লড়াই। ইনশা আল্লাহ আমি কঠোর পরিশ্রম করব আর চ্যালেঞ্জ নেবো।














You might also like

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.