Beanibazarview24.com
জাতিসংঘ সদর দফতরে বাংলাদেশ ও ইসলামী সহযোগী সংস্থার যৌথ আয়োজনে ‘রোহিঙ্গা ক্রাইসিস: এ ওয়ে ফরোয়ার্ড’ শীর্ষক এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ বলেন, রোহিঙ্গা গণহ’ত্যার দায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের। তিনি এ সঙ্কটের আশু সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন।
ইসলামী দেশগুলোর সংগঠন ওআইসির সঙ্গে ওই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে চারটি প্রস্তাব উত্থাপন করবেন তিনি। আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৪তম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
মাহাথির বলেন, ‘এটা খুব স্পষ্ট যে এই সঙ্কট সমাধানে মিয়ানমার সরকার কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেয়ার ব্যাপারে অনাগ্রহী। তাই এটি এখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ওপর বর্তায়। মানবসৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবিলার উদ্দেশ্যেই জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠা। এখন সংস্থাটির উচিত রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে ভূমিকা রাখা।’
মাহাথির মোহাম্মদ রোহিঙ্গা নিধনকে রাষ্ট্রীয় হ’ত্যাকাণ্ড অভিহিত করে বলেন, ‘আসুন আমরা কালোকে কালো বলতে শুরু করি। মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য রাখাইনে যা ঘটেছে তা গণহ’ত্যা। যেখানে গণহ’ত্যা, পদ্ধতিগত ধ’র্ষণ এবং আরও বড় ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে।’
মাহাথির বৈশ্বিক এই সঙ্কট দ্রুত সমাধানের আহ্বান জাানিয়ে বলেছেন, ‘রাষ্টীয় স’ন্ত্রাসবাদের শি’কার হয়ে জীবনের নিরাপত্তার জন্য রোহিঙ্গা মুসলিমরা ঘর ছেড়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই সঙ্কট নিরসন করতে ব্যর্থ হয়েছে।’ এখনই এই সঙ্কট নিরসন করার জন্য বিশ্বনেতাদের আহ্বান জানান তিনি।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদের হাত থেকে রক্ষা পেতে লাখ লাখ রোহিঙ্গা নিজের ঘরবাড়ি ছেড়ে বাংলাদেশের কক্সবাজারে গিয়ে গণহারে আশ্রয় নিয়েছে। ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেন তিনি।
উচ্চ পর্যায়ের ওই বৈঠকে ওআইসির মহাসচিবসহ ইসলামী বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী ও প্রতিনিধিরা অংশ নেন। এর বাইরে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, জার্মানি, বেলজিয়াম, সুইডেন, সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী ও প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.