Beanibazarview24.com
যুক্তরাজ্যে পুরুষদের পোশাকের একজন ফ্যাশন ডিজাইনার নিজের প্রথম ফ্যাশন শোতে তুলে ধরছেন বাংলাদেশের ঐতিহ্য। লন্ডনের সেন্ট্রাল সেন্ট মার্টিন্স কলেজ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করা রহিমুর রহমান ৫ জানুয়ারি লন্ডন ফ্যাশন উইকে বাংলাদেশি ঐতিহ্যকে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন।
২৭ বছর বয়সী রহিম নিজেও একজন ব্রিটিশ বাংলাদেশি। বাংলাদেশি ফেয়ার ট্রেড সংস্থা অরণ্যতে কাজ করেন তিনি। দেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে যান নিজের সৃজনশীল সৃষ্টির মাধ্যমে।
সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে আত্মিক যোগাযোগ আমার জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। এজন্যই আমি অরণ্যের সঙ্গে কাজ করছি। প্রাকৃতিকভাবে তৈরি অসাধারণ কিছু পণ্য আমি তুলে ধরতে চাই। ’ তিনি বলেন, বাংলাদেশি হস্তশিল্প দেখেই আমার সৃজনশীলতা তৈরি হয়। লন্ডনে নতুন পাওয়া এই সুযোগকে কাজে লাগাতে চাই। এতে করে বাংলাদেশের সুপ্ত প্রতিভা ছড়িয়ে পড়বে বিশ্বব্যাপী।’
রহমান নিজে তার বাবার দ্বারা অনুপ্রাণিত। ১৯৮০ এর দশকে লন্ডনে পাড়ি জমান তার বাবা। পূর্ব লন্ডনের ব্রিক লেনে একটি টেলরিং কারখানায় কাজ নেন তিনি। সেসময় লন্ডনে যাওয়া বাংলাদেশিদের জন্য এটাই সবচেয়ে সাধারণ কাজ ছিলো। এখনও তার বাবা একই কাজ করেন।
রহিম বলেন, টেলরিংয়ের প্রতি এই ভালোবা ও মায়ের মাতৃভূমির যে টান, দুটো মিলেই আমার ভেতরে এই অনুপ্রোরণা। এখন বিশ্বকে দেখাতে চান যে ফ্যাশনও রাজনৈতিক পরিবর্তনের হাতিয়ার হতে পারে। তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি আমার কাজে সেই ছোঁয়া আছে। প্রথমত কাপড়গুলো খুবই ভালো হয়, আর এর কাজগুলেও অসাধারণ।
নতুন বছরে তার পরিকল্পনা হলো, নিজের প্রতিষ্ঠানকে যুক্তরাজ্যে প্রতিষ্ঠিত করা এবং বাংলাদেশে তার কাজ দেখানোর জন্য আর্থিকভাবে স্থিতিশীল হওয়া। তিনি আশাবদী যে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে সক্ষম হবেন তিনি। ২০১৩ সালে রানা প্লাজ ধসের পর যেটা খুবই জরুরি বলে মন্তব্য তার।
রহিম বলেন, রাজনৈতিকভাবে বাংলাদেশের অনেক কাজ করা বাকি। তৈরি পোষাকখাতকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে কারণ এটা বাংলাদেশের মানুষের ভালোর জন্য শক্তিশালী হাতিয়ার। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি নৈতিক অবক্ষয়ের কারণে বাংলাদেশের এমন অনেক শক্তি ও সম্ভাবনা ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.