Beanibazarview24.com
কুমিল্লায় পার্কে শিক্ষা সফরে আসা লক্ষ্মীপুর ইলেভেন কেয়ার একাডেমির ২য় শ্রেণীর ছাত্রী ফৌজিয়া আরেফিন সামিউন (৮) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার কোটবাড়ি ম্যাজিক প্যারাডাইস পার্কে এই ঘটনা ঘটে।
সামিউন লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড সমসেরাবাদ এলাকার বাসিন্দা ও কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সচিব গিয়াস উদ্দিনের মেয়ে। সে লক্ষ্মীপুর ইলেভেন কেয়ার একাডেমির ছাত্রী। সামিউনের মৃত্যুতে মা-বাবা, পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বৃহস্পতিবার শিক্ষা সফরে ইলেভেন কেয়ার একাডেমি আসে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা ম্যাজিক প্যারাডাইস পার্কে আসে। অন্য শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা আসলেও মারা যাওয়া সামিউনের মা-বাবা কেউই আসেননি। অন্যদের সাথে সে পার্কের একটি ওয়াটারপুলে খেলা করছিলো। কিছুক্ষণ পরই ঠান্ডাজনিত কারণে খিঁচুনি এলে সামিউন বমি করে। এ সময় অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে মেয়েটির বাবা গিয়াস উদ্দিন অভিযোগ করেন, ‘শিক্ষকদের অবহেলার কারণেই আমার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। মেয়েকে একা ছাড়তে অনিচ্ছা থাকা সত্তে¡ও শিক্ষকরা দায়িত্ব নেয়ায় তাকে যেতে দিয়েছি।’
ইলেভেন কেয়ার একাডেমির অধ্যক্ষ রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ‘শিশু সামিউনের মৃত্যু সবাইকে মর্মাহত করেছে। এটি খুবই বেদনাদায়ক। মৃত্যুটি মেনে নেয়াও খুব কষ্টদায়ক।’ তার দাবি, ‘ঠান্ডা লেগে সামিউন অসুস্থ হয়ে গেলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঠান্ডা জনিত কারণেই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। শিশুদের প্রতি দায়িত্বে তাদের কোনো অবহেলা ছিল না।’
ম্যাজিক প্যারাডাইসের পরিচালক মো. নাসির জানান, ‘পার্কের পুলের পানিতে নামায় ঠান্ডা আক্রান্ত হয়ে এক শিশু অসুস্থ হওয়ার পর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে শুনেছি। তবে স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাদের সাথে কোন যোগাযোগ করেনি। শুক্রবার আজকে সকালে শুনেছি শিশুটি নাকি মারা গিয়েছে।’
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, ‘শিশু মৃত্যুর বিষয়টি শুনেছি। তবে কোন হাসপাতালে মারা গিয়েছে, তা পার্ক কর্তৃপক্ষ বলতে পারছে না। আমরা খোঁজ খবর নিচ্ছি।’
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.