Beanibazarview24.com
বাগেরহাটের শরণখোলায় ১১ বছর বয়সী মাদরাসা ছাত্রীকে ধ’র্ষণের অভিযোগে মাদ্রাসার এক শিক্ষকের বিরু’দ্ধে মা’মলা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দুপুরে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ওই শিক্ষার্থীকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে শরণখোলা থানা পুলিশ।
এর আগে সোমবার রাতে নি’র্যাতিত ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে ইলিয়াস হোসেন (৪৫) নামের ওই সুপারের বিরু’দ্ধে মা’মলা করেন। ইলিয়াস হোসেন শরণখোলা উপজেলার খোন্তাকাটা রাফেজিয়া ইবতেদায়ী মাদ্রাসার সুপার। তিনি একই উপজেলার পূর্ব রাজাপুর গ্রামের গফফার জোমাদ্দারের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ৮ আগস্ট মাদরাসার লাইব্রেরিতে নিয়ে ৫ম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থীকে ধ’র্ষণ করে ইলিয়াস হোসেন। শিক্ষার্থী বিষয়টি মা-বাবাকে না জানানোর জন্য ভ’য় দেখায়। পরে শিশুটির র’ক্তক্ষ’রণ হলে ওই সুপার মেয়েটির বাড়িতে গিয়ে সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছে বলে তার পিতা মাতাকে জানায়। শিক্ষার্থীকে সুস্থ করতে নিজেই ঝা’ড়ফু’ক ও পানি পড়া দেয় ওই সুপার।
কিন্তু তাতেও সুস্থ না হওয়ায় সুপারের পরামর্শে মোরেলগঞ্জ উপজেলার একটি ক্লিনিকে চিকিৎ’সার জন্য ভর্তি করে শিশুটির পিতা-মাতা। সিঁড়ি থেকে পরে যাওয়া আঘাতের কারণে রক্তক্ষরণ নয়, অন্য কারণ থাকতে পারে বলে চিকিৎসকরা পরিবারকে পরামর্শ দেয়। এর পরেই শিশুটি তার বাবা-মাকে বিষয়টি জানায়। বিষয়টি জানাজানি হলে, সুপার ওই মেয়ের বাবা-মায়ের হাত-পা ধরে ক্ষ’মা চান। পরে তিনি গা ঢাকা দেন।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলিপ কুমার সরকার বলেন, ধ’র্ষণের ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর বাবা মা’মলা করেছেন। আমরা শিক্ষার্থীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছি। অভিযুক্ত সুপার ইলিয়াস হোসেনকে আটক করার জন্য পুলিশ অ’ভিযান শুরু করেছে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.